আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন এর অর্থ কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আশা করি সকলে ভাল আছেন। শ্রেয় মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, আসসালাতু আসসালু আলাইকা ইয়ালাম আল্লাহ / আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন হুকুম কি? এটি জায়েজ না জায়েজ? তাই আজকে আমি আসসালাতু আসসালামু আলা সাইয়েদিনা মুরসালিন এবং আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ অর্থ কি তা নিয়ে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়লে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। তাহলে আর কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক:

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুজানবিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খাতামান-নাবীঈন, আসসালাতু আসসালামু আলা সাইয়েদিনা মুরসালিন, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ অর্থ কি, Assalatu Assalamu ala Sayyedina Mursaleen, biborun.com

بسم الله الرحمن الرحيم

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

আপনি বলেন, সাঃ কে নাজিরের বিশ্বাস না করে বলা যায় জায়েজ আছে। বলাতে কোন সমস্যা নেই। বর্তমানে এ পদ্ধতিতে একথা বলা আবশ্যক মনে করার কারণে কিন্তু দরূদ বলা বিদায়ে পরিণত হয়েছে। তাই বলা থেকে নিরাপত্তা থাকবে।

আর যদি এ দরূদ রসুল সাঃ কে হাজির নাজির বিশ্বাস করে, তাহলে এটি শিরক। যে হাজির নাজির বিশ্বাসের সাথে একথা কথায়, সে মুশরিক হয়ে যাবে।

ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ، وَكَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ، التَّشَهُّمَلَمَكَمِنِ كُمِّنِ، التَّشَهُّدَاُ، اُرْآنِ: «التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ عَلَيْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَكَاتُ عَلَيْمَةُ اللَّهِ ادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ» وَهُوَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْنَا ظَهْرَانَيْنَا، فَلَمَّا قُلَعُ – فَلَمَّا قُبِيُ – لَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (صحيح البخارى، رقم الحديث-6265)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الْأَرْبِيْتِ السَّبِيْمِ سَيَّاحِينَ فِي الْأَيْلُ اللَّهِ َامَ» (مصنف ابن ابى شيبة، رقم الحديث-8705، مسند احمد، رقم الحديث-3702)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ بَنْدَ قَبْرِي وَكَلَ وَكِّيَ بِنْدَ قَبْرِي وَكِلَي وَكُلَهُ كُفِي بِهَا أَمْرَ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَكُنْتُ لَهُ شَهِيدًا أَوْ شَفِعيًا ” هَذَا لَفْظُ حَدِيثُ، الْأَصْمَوِعِيْةُ حَدِيثُ، الْأَصْمَوِيْةِ الْأَصْمَوِيْةِ، حَدِيثُ الْأَصْمَوِيْةِ لَفْظُ : عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًًا أَبْلَيْثُ 1-8-8

আসসালাতু আসসালামু আলা সাইয়েদিনা মুরসালিন হুকুম কি?

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। ওয়া আসসালাতু ওয়া আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারীম।

আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল উদ্ভাবনী মাজীদেব লেখক,

“যারা সফলভাবে স্বীয় অর্থ বহন ক্ষমতা করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শিষ জন্মায়। কোনটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অনেক দানশীল, সর্বজ্ঞ। [আল ২:২৬১]

“হে তথ্যদারগণ! তোমরা স্বীয় কাজ থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে পাকা করেছি, তা থেকে কৃষ্টিকে শক্তিশালী কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস করতে মনস্থ করো না। [আল ২:২৬৭]

“তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাকে আমাদের উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে শক্তি কর। তাই, আমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। [আল তারিখ ৫৭:৭]

স্পীডের সামনে উওর সাল্লাম আমাদের শিখেছেন নিজের ভাই এর দিকে এগিয়ে এসেছেন, এক চিলতে মুচকি হাসিও হতে পারে সাদাকা। তাই দল হিসেবে মুখের হাসি আমরা সাদাকা তো করবই, নিজের অন্যেরও যাতে হাসি ফোটে সেই লক্ষ্যে ভিডিওটি রিযিক থেকে জোর করা আমাদের দায়িত্ব।

“সাদাকা” এমন একটি অলাভজনক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান, যারা ইনশাআল্লাহ নিশ্চিত করবে আপনার আমার সাদাকা করার অর্থও রাখা যাতে ইসলাম নির্দেশিত পয়সা প্রাপকের কাছে পাওয়া যায়।

আল্লাহ বলেন, “হে আদম সন্তান! আমি তোমার জন্য শক্তি করব।

[সহীহ আল বুখারী : ৫৩৫২]

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন এর অর্থ কি

“আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন” এর অর্থ হলো:

“তোমার উপর শান্তি ও আশীর্বাদ বর্ষিত হোক, হে রাসূলদের প্রধান।”

এটি একটি সম্মানসূচক সালাম, যা মুসলমানরা প্রায়ই প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি পাঠ করেন। “সায়েদুল মুরসালিন” বলতে বোঝানো হয় “রাসূলদের নেতা” বা “রাসূলদের প্রধান,” যা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর মর্যাদা ও গুরুত্বকে তুলে ধরে।

 আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুজানবিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খাতামান-নাবীঈন, আসসালাতু আসসালামু আলা সাইয়েদিনা মুরসালিন, Assalatu Assalamu Alaika Ya Rasool Allah, biborun.com

আরো পড়ুন :- রোজা রাখার নিয়ত ফরজ নামাজের পর তাসবিহ সমূহআল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থরোজার সময়সূচি ২০২৪স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা যেভাবে দোয়া করলে দ্রুত কবুল হবে আম্মাবাদ শব্দের অর্থ কিহাজতের নামাজের দোয়া যানবাহনে চলাচলের দোয়া

আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ অর্থ কি

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যৎ বাণী কত সত্য ভাবে প্রকাশিত হয়েছে!! তিনি বলেছেন:

(ألا إني أوتيت الكتاب ومثله معه لا يوشك رجل شبعان على أريكته يقول عليكم بهذا القرآن فما وجدتم فيه من حلال فأحلوه وما وجدتم فيه من حرام فحرموه)

“জেনে রাখ, আমি কুরআন প্রাপ্ত হয়েছি এবং তার সাথে আরও অনুরূপ আরেকটি জিনিস (তা হল হাদীস)। অচিরেই দেখা যাবে, এক লোক ভরা পেটে তার খাটের উপর থেকে বলবে: তোমরা এই কুরআনকে আঁকড়ে ধর। এতে যে সকল বস্তু হালাল পাবে সেগুলোকে হালাল মনে কর, আর যে সব বস্তুকে হারাম পাবে সেগুলোকে হারাম মনে কর।“ (আবু দাউদ, মিকদাদ ইবনে মাদিকারাব থেকে বর্ণিত, সনদ সহীহ)

উক্ত হাদীসটি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াতের সত্যতার প্রমাণ বহন করে। কারণ, নবুওয়তের যুগ পার হওয়ার পরপরই শিয়া ও খারেজী সম্প্রদায়ের হাত ধরে বিভিন্ন দল তৈরি হয় তারা হাদীসের উপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বলে কুরআনই যথেষ্ট এবং হাদীস ও সু্ন্নাহকে প্রত্যাখ্যান করে।

মতভেদ হলে আল্লাহর কুরআন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদীছ থেকে সমাধান নিতে হবে:

অসংখ্য আয়াতে আল্লাহর কথা মেনে নেয়ার সাথে সাথে রাসূলের কথাকেও মানতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর..।” (মুহাম্মাদঃ ৩৩) আরও সূরা নূর: ৫৪।

রাসূলের কোন কথা না থাকলে আলাদাভাবে তাঁর অনুগত্য করার জন্যে أَطِيعُوا শব্দ ব্যবহারের দরকার ছিল না।

পার্থক্য লক্ষ্য করুন, সূরা নিসার ৫৯নং আয়াতে আল্লাহ্‌ তাঁর এবং রাসূলের অনুগত্য করার সাথে সাথে উলুল আমর তথা মুসলিম শাসকেরও আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের শাসকবর্গের।”

এখানে أَطِيعُوا শব্দটি যেমন আল্লাহর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে একইভাবে রাসূলের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়েছে; কিন্তু উলুল আমরের আনুগত্যের ক্ষেত্রে শব্দটিকে ব্যবহার করা হয়নি। এ থেকে বুঝা যায় আল্লাহর আনুগত্য যেমন বিনাবাক্য ব্যয়ে করতে হবে, অনুরূপ রাসূলের আনুগত্যও। কিন্তু উলুল আমরের আনুগত্য করার সময় খেয়াল রাখতে হবে তার কথা আল্লাহ এবং রাসূলের কথার সাথে মিল আছে কি না। অর্থাৎ তাঁর অনুগত্য তাঁদের আনুগত্যের মাপকাঠিতে হতে হবে।

এই জন্যে মতভেদ বা সমস্যা হলে সমাধান কিভাবে করতে হবে আয়াতের পরের অংশে আল্লাহ্‌ তা বলে দিয়েছেন:

فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ

“তোমরা কোন বিষয়ে মতবিরোধ করলে তার সমাধানে জন্যে আল্লাহ্‌ এবং রাসূলের শরণাপন্ন হবে।”

এখানে আর উলুল আমরের কথা বলা হয়নি। কেননা তাদের সমাধান গ্রহণযোগ্য নয়।

আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ অর্থ কি:  সমাধান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল দিবেন। অর্থাৎ আল্লাহর কুরআন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে। তিনি জীবদ্দশায় নিজে সমাধান দিয়েছেন, আর তাঁর মৃত্যুর পর কুরআন এবং সেই সাথে তাঁর রেখে যাওয়া সমাধান সমূহ যার অপর নাম হাদীছ।

শেষ কথা

প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরাআসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুজানবিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খাতামান-নাবীঈন, আসসালাতু আসসালামু আলা সাইয়েদিনা মুরসালিন তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।

আরো পড়ুন :- রোজা রাখার নিয়ত ফরজ নামাজের পর তাসবিহ সমূহআল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থরোজার সময়সূচি ২০২৪স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা যেভাবে দোয়া করলে দ্রুত কবুল হবে আম্মাবাদ শব্দের অর্থ কিহাজতের নামাজের দোয়া যানবাহনে চলাচলের দোয়া

Tag:  আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুজানবিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া সায়েদুল মুরসালিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খাতামান-নাবীঈন, আসসালাতু আসসালামু আলা সাইয়েদিনা মুরসালিন, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ অর্থ কি, Assalatu Assalamu ala Sayyedina Mursaleen, biborun.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top