আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা অর্থ: মানুষের সময়ের ফসল। পৃথিবীতে স্থান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিপদ-আপদ, কষ্ট ও বিপদ-আপদ দিয়ে থাকেন। তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন। বান্দা তার কাছে ফিরে আসে, নাওয়ার অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। হেদায়, আল্লাহভীতি, শক্তি, ধন-সম্পদ আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিয়ামত।
সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট লাভের জন্য প্রার্থনা করা প্রত্যেকটি মুমিনের একান্ত আদর্শ। কারণ স্বয়ং রাসুল নেতা পদে পদে প্রার্থনা করেছেন। যা উম্মতে মুহাম্মাদির শিক্ষা। তাই আজকে এই পোস্টে আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা অর্থ, হেদায়েত হওয়ার দোয়া, এবং আল্লাহ যে ১১ দোয়ায় হেদায়েত দেবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা অর্থ
যাঁর কাছে সব কথা খোলা মনে বলা যায়, তিনিই মহান প্রভু। মানুষ এ রবের কাছে কত কিছুই না চায়! কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে বিশেষ ৪টি আবেদন করেছেন। কি চমৎকার আবেদন তিনি করেছিলেন। এতে রয়েছে মানুষের জীবনের সব ইচ্ছা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে কী চেয়েছিলেন?
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করেছেন- ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সঠিক পথ তথা পরিশুদ্ধ জীবন চাই; আপনার ভয় কামনা করি, আত্মিক পবিত্রতা কামনা করি এবং জীবন পরিচালনায় সচ্ছলতা চাই।’ নবিজীর এ চাওয়া হাদিসের বর্ণনায় এভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন–
اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আফাফা; ওয়াল গেনা।’
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে হেদায়েত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা পরহেজগারি কামনা করি এবং আপনার কাছে সুস্থতা তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্থ্য বা সচ্ছলতা কামনা করি। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদ)
কত উত্তম প্রার্থনাই না এটি! নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আল্লাহর কাছে এ দোয়া করতেন। নবিজীর এ দোয়া উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য সুমহান শিক্ষা। এ দোয়াটিতে রয়েছে মানুষের জীবনের সব চাহিদা পূরণের আবেদন।
হজরত আবদ কাউন্সিল ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু হুহু বর্ণনা করেছেন প্রিয়নবি উচ্চ ওয়া সাল্লাম বলতে–
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আ’ফাফা; ওয়াল গেনা।
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে হেদায়েত কামনা করি; এবং আপনার ভয় তথা পরহেজগারি কামনা করি; এবং আপনার কাছে সুস্থতা তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্য্ কামনা করি। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ ৪ অনুগ্রহ কামনা করা। যার মধ্যে রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের সব আবেদন।
হেদায়েত হওয়ার দোয়া
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াততুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা
অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে হিদায়াত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা কামনা করছি।
উপকার : আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এ দোয়া পাঠ করতেন।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭০৭৯)
আরো পড়ুন :- রোজা রাখার নিয়ত । আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস । আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থ। রোজার সময়সূচি ২০২৪ । স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা । যানবাহনে উঠার দোয়া ও অর্থ । হাজতের নামাজের দোয়া
আল্লাহ যে ১১ দোয়ায় হেদায়েত দেবেন
হেদায়েত আল্লাহ তাআলার মহা নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর কাছে হেদায়েত চাওয়ার কথা বলেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে হেদায়েত চায় আল্লাহ তাআলা তাকে হেদায়েত দান করবেন। আল্লাহর কাছে হেদায়েত পাওয়ার জন্য ১০টি দোয়া রয়েছে। যেসব আবেদনে আল্লাহ বান্দাকে হেদায়েত দান করবেন। এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু যর আল গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহর কাছে থেকে বর্ণনা করেন-
يَا عِبَادِي! كُلُّكُمْ ضَالٌّ إلَّا مَنْ هَدَيْته، فَاسْتَهْدُونِي أَهْدِكُمْ
‘হে আমার বান্দাগণ! আমি যাকে হেদায়েত (সঠিক পথের সন্ধান) দিয়েছি সে ছাড়া তোমরা সকলে পথভ্রষ্ট। সুতরাং তোমরা আমার কাছে হেদায়েত চাও; আমি তোমাদের হেদায়েত দান করবো।’ (মুসলিম)
কোরআন–সুন্নাহ ঘোষিত হেদায়েত পাওয়ার ১০ দোয়া তুলে ধরা হলো–
১. اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ : ‘ইহদিনাস সিরাত্বাল মুসতাক্বিম।’
‘(হে আল্লাহ!) আমাদেরকে সরল পথ দেখাও।” (সুরা ফাতিহা)
২. اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعفَافَ، والغنَى
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াততুক্বা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুপথ, আল্লাহ ভীতি, চরিত্রের নির্মলতা ও অভাব মুক্তির প্রার্থনা করছি।’ (তিরমিজি)
৩. اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي، وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি, ওয়া আয়িজনি মিন শাররি নাফসি।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান করো এবং নফসের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করো।’ (তিরমিজি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত হুসাইন ইবনে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে দুটি বাক্য দ্বারা দোয়া করতে শিখিয়েছিলেন।
৪. رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَىَّ وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِي وَيَسِّرِ الْهُدَى لِي
উচ্চারণ : রাব্বি আয়িননি ওয়ালা তুয়িন আলাইয়া। ওয়ানসুরনি ওয়া লা তানসুর আলাইয়া। ওয়ামকুর লি ওয়ালা তামকুর আলাইয়া, ওয়াহদিনি ওয়া ইয়াসসিরিল হুদা লি।’
অর্থ : ‘হে আমার রব! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না। আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না। আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না। আমাকে হেদায়েত দান করো, আমার জন্য হেদায়েতের পথ সহজতর করো (ইবনে মাজাহ)
৫. اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রব্বা জিবরাঈলা ওয়া মিকাঈলা ওয়া ইসরাফিলা ফাত্বিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি আলিমাল গাইবি ওয়াশ্ শাহাদাতি আন্তা তাহকুমু বাইনা ইবাদিকা ফিমা কানু ফিহি ইয়াখতালিফুন; ইহদিনি লিমা উখতুলিফা ফিহি মিনালহাক্বি বিইজনিকা, ইন্নাকা তাহদি মান তাশাউ ইলা সিরাতিম মুস্তাক্বিম। (মুসলিম)
অর্থ: হে আল্লাহ! জিবরিল, মীকাল ও ইস্রাফীলের রব, আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, গায়েব ও উপস্থিত সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। তোমার বান্দাগণ যে সব বিষয়ে মতভেদ করে তুমি তার মীমাংসা কর, সত্য থেকে দূরে সরে যে সব বিষয়ে মতভেদ করা হয় সেগুলিতে তোমার সহায়তায় আমাকে সঠিক পথ নির্দেশনা দাও। নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছে সঠিক পথ প্রদর্শন কর।’ (মুসলিম)
৬. اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ وَسَدِّدْنِيْ – اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالسَّدَادَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাহদিনী ওয়া সাদ্দিদনি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াস-সাদাদ।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত কর। হে আল্লাহ! তোমার কাছে হেদায়েত ও সঠিক পথ কামনা করছি।’ (মুসলিম)
৭. اللَّهُمَّ ثَبِّتْنى وَاجْعَلْنى هَادِيًا مَهْدِيًّا
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি ওয়াঝআলনি হাদিয়াম মাহদিয়া।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে স্থির রাখুন ও হেদায়েতকারী ও হেদায়েত প্রাপ্ত বানান।’ (মুসলিম)
৮ দুআ : اللهمَّ اهْدِني فيمن هديتَ, وعافِني فيمن عافيتَ, وتولَّني فيمن توليتَ, وبارِكْ لي فيما أعطيتَ, وقِنِي شرَّ ما قضيتَ, فإنك تقضي ولا يُقْضَى عليك, وإنَّهُ لا يَذِلُّ من واليتَ, ولا يَعِزُّ من عاديتَ, تباركتَ ربنا وتعاليتَ, لا مَنْجَا منك إلا إليكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাহদিনী ফি মান হাদাইত। ওয়া আফিনি ফিমান আফাইত। ওয়া তাওয়াল্লানি ফিমান তাওয়াল্লাইত। ওয়া বারিকলি ফি মা আত্বাইত। ওয়া ক্বিনি শাররা মা ক্বাদ্বাইত। ফাইন্নাকা তাক্বদ্বি ওয়া লা ইউক্বদ্বা আলাইক। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াজিল্লু মাঁউ ওয়া লাইত। ওয়া লা ইয়াইয্যু মান আদাইত। তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তাআলাইত। লা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছ, আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যাদের নিরাপদ রেখেছ আমাদের তাদের দলভুক্ত কর। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, আমাদের তাদের দলভুক্ত করো। তুমি আমাদের যা দিয়েছ তাতে বরকত দাও। তুমি যে অমঙ্গল নির্দিষ্ট করেছ তা থেকে আমাদের রক্ষা করো। নিশ্চয়ই তুমি ফয়সালা করো; তোমার ওপরে ফয়সালা করার কেউ নেই। তুমি যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ, সে কোনো দিন অপমানিত হবে না এবং তুমি যার সাথে শত্রুতা করেছ, সে কখনো সম্মানিত হতে পারবে না। হে আমাদের রব! তুমি বরকতময় ও সুমহান। তোমার পাকড়াও থেকে বাঁচার উপায় নাই তোমার আশ্রয় ছাড়া।’ (তিরমিজি) হজরত হাসান বিন আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বিতর সলাতে বলার জন্য এ দোয়াটি শিখিয়েছেন।
৯. رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
উচ্চারণ : রব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বাদা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রহমাতান, ইন্নাকা আন্তাল ওয়াহহাব।
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আপনি হেদায়েত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বাঁকা করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৮)
(হেদায়েত লাভের পর অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি চাওয়ার দুআ)
১০. اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা ত্বআতিকা।’
অর্থ : ‘হে হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের হৃদয়গুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন।’ (মুসলিম)
১১. يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِى عَلَى دِينِكَ
উচ্চারণ : ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, সাব্বিত কলবি আলা দ্বীনিকা।
অর্থ : ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর সুদৃঢ় করে দাও।” (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথ ও হেদায়েত পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ দোয়াগুলো পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সকাল-সন্ধ্যায় হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মাধ্যমে হেদায়েত, তাকওয়া, সুস্থতা এবং ধন-সম্পদ অর্জনের শক্তি-সামর্থ্য অর্জন করতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শেষ কথা
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা অর্থ, হেদায়েত হওয়ার দোয়া, আল্লাহ যে ১১ দোয়ায় হেদায়েত দেবেন তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।
আরো পড়ুন :- রোজা রাখার নিয়ত । আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস । আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থ। রোজার সময়সূচি ২০২৪ । স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা । যানবাহনে উঠার দোয়া ও অর্থ । হাজতের নামাজের দোয়া
Tag: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা অর্থ, হেদায়েত হওয়ার দোয়া, আল্লাহ যে ১১ দোয়ায় হেদায়েত দেবেন, Allahumma ini Asalukal Huda, biborun.com