কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায় । কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম

কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায় তা জানতে পাঠকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। কারণ, কোরিয়ান জিনসেং দীর্ঘদিন ধরে পুরুষত্বহীনতার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একটি গবেষণায়, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন সহ 45 জন পুরুষকে কোরিয়ান জিনসেং (অন্য কিছু যাকে ওষুধ বলা হয়) দেওয়া হয়েছিল রোগীকে শান্ত করার জন্য, রোগ নিরাময়ের জন্য নয়। তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জিনসেং খায়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে, যারা কোরিয়ান জিনসেং সেবন করেন তাদের ইরেক্টাইল সমস্যায় উন্নতি হয়। অবশেষে, গবেষকরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে কোরিয়ান জিনসেং পুরুষত্বহীনতার বিকল্প চিকিত্সা হতে পারে।

তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে আমরা জিনসেং কি, কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি, কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়, কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম এবং কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক:জিনসেং কি, কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি, কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়, কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সতর্কতা, koriyen ginseng kothay paoya jay, biobrun.com

জিনসেং কি

জিনসেং গাছের মূল। দেখতে একদম মানুষের মতো, মূল দেখলেই বুঝবেন। জিনসেং হাজার বছর ধরে কোরিয়া সহ অনেক দেশে এর ঔষধি গুণাবলীর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জিনসেং হল রোগ প্রতিরোধের মূল এবং ইংরেজিতে এটি রোগ প্রতিরোধে Proactivetool। কোরিয়ানরা বিভিন্ন উপায়ে জিনসেং খায় এবং জিনসেং পুরো মানবদেহে কাজ করে। আসুন জেনে নিই জিনসেং কি এবং এর উপকারিতা।

কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি

কোরিয়ান জিনসেং (Panax ginseng) বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রদান করে, যা প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর কিছু প্রধান উপকারিতা হলো:

১. শক্তি সহনশীলতা বৃদ্ধি:

কোরিয়ান জিনসেং শরীরের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শারীরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, ফলে কাজের সময় দীর্ঘস্থায়ী শক্তি বজায় থাকে।

২. মানসিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি:

গবেষণায় দেখা গেছে, কোরিয়ান জিনসেং মানসিক সতর্কতা এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এটি মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

৩. ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে:

এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত জিনসেং গ্রহণ করলে সর্দি, কাশি এবং ফ্লু-এর মতো সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।

৪. এন্টি-ইনফ্লামেটরি প্রভাব:

জিনসেং এর মধ্যে এন্টি-ইনফ্লামেটরি (প্রদাহ-প্রতিরোধী) উপাদান রয়েছে যা প্রদাহজনিত রোগ যেমন আর্থ্রাইটিস বা হৃদরোগের মতো সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:

জিনসেং কিছু গবেষণায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে দেখা গেছে, তবে এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিত।

৬. যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করা:

কোরিয়ান জিনসেং প্রায়ই পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৭. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে:

কোরিয়ান জিনসেং শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা বাড়িয়ে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

৮. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমায়:

এটি অ্যাডাপ্টোজেন হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এবং মেজাজ উন্নত করতে পারে।

যদিও কোরিয়ান জিনসেং এর অনেক উপকারিতা রয়েছে, এটি ব্যবহারের আগে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

জিনসেং কি, কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি, কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়, কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সতর্কতা, koriyen ginseng kothay paoya jay, biobrun.com

আরো পড়ুন :-টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধের নাম

কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়

কোরিয়ান জিনসেং বাংলাদেশে বিভিন্ন ফার্মেসি, হারবাল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়। নিচে কিছু সাধারণ স্থান এবং অনলাইন দোকানের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে এটি পাওয়া যেতে পারে:

১. অনলাইন শপ:

  • Manohari.shop: এখানে ৫০০ মিগ্রা জিনসেং ট্যাবলেট পাওয়া যায়, যার দাম প্রায় ৩,০০০ টাকা​।
  • BD Supplement Store: Kanghwa Korean Red Ginseng Gold Capsules (900mg, 120 ক্যাপসুল) পাওয়া যায়, যার দাম প্রায় ৪,৯৯০ টাকা​।

২. ফার্মেসি এবং হারবাল স্টোর:

  • অনেক বড় ফার্মেসি এবং হারবাল দোকানগুলিতে কোরিয়ান জিনসেং পাওয়া যায়।
  • আয়ুর্বেদিক দোকান এবং স্বাস্থ্যসেবা পণ্য বিক্রির দোকান গুলোতে Panax Ginseng বা Red Ginseng ক্যাপসুল ও এক্সট্রাক্ট পাওয়া যেতে পারে।

৩. বিশেষজ্ঞ নির্ধারিত দোকান:

  • কিছু বিশেষ হারবাল স্টোরে এবং আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহকারী দোকানেও এটি পাওয়া যায়।

অনলাইনে কিনতে চাইলে, এই শপগুলোতে সরাসরি অর্ডার করতে পারেন এবং ক্যাশ-অন-ডেলিভারি সুবিধা নিতে পারেন।

কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম

কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম পণ্যের ধরন, পরিমাণ, এবং উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ দামের তালিকা দেওয়া হলো:

  1. Kanghwa Korean Red Ginseng Gold Capsules (900mg, 120 ক্যাপসুল): প্রায় ৳৪,৯৯০ থেকে ৳৫,৫০০​।
  2. Korean Red Ginseng Tea (50 pack): প্রায় ৳১,৫০০
  3. Korean Red Ginseng 500mg Tablets (60 পিস): প্রায় ৳৩,০০০​।

এই দামগুলো বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং অফলাইন স্টোরে ভিন্ন হতে পারে।

কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম

কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করে এটি কীভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে এবং কোন উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণত এটি সাপ্লিমেন্ট, চা, পাউডার, অথবা এক্সট্রাক্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এর সঠিক ডোজ এবং ব্যবহার পদ্ধতি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত। নিচে কিছু সাধারণ ব্যবহার নির্দেশিকা দেওয়া হলো:

১. কোরিয়ান জিনসেং সাপ্লিমেন্ট বা ক্যাপসুল আকারে:

  • প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারে গ্রহণ করা যায়।

এটি খাওয়ার সর্বোত্তম সময় সকালে বা দুপুরে। কারণ রাতে গ্রহণ করলে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।

২. কোরিয়ান জিনসেং চা:

  • জিনসেং চা প্রস্তুত করতে ২ থেকে ৩ গ্রাম শুকনো জিনসেং মূল গরম পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে পান করা যায়।
  • প্রতিদিন ১ থেকে ২ কাপ চা পান করতে পারেন।

৩. জিনসেং পাউডার:

  • পাউডার আকারে এটি প্রতিদিন ১-২ গ্রাম মিশ্রিত করে গ্রহণ করা যায়। এই পাউডার চা, স্যুপ, অথবা অন্যান্য পানীয়তে মেশানো যায়।

৪. জিনসেং এক্সট্রাক্ট:

  • তরল জিনসেং এক্সট্রাক্টের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত এটি পানি বা জুসের সাথে মিশিয়ে পান করা হয়।

৫. কোরিয়ান জিনসেং টনিক:

  • কিছু ক্ষেত্রে, জিনসেং টনিক হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এটি সঠিক ডোজ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

৬. চিকিৎসা অনুযায়ী সেবন:

  • যদি কোনও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ব্যবহার করেন (যেমন মানসিক চাপ, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি বা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি), তাহলে ডোজ নির্ধারণে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

খাওয়ার সময়কাল:

  • সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত জিনসেং ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর ১-২ সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার শুরু করা যায়।
  • দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ প্রয়োজন।

কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সতর্কতা

কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, কারণ এটি কিছু মানুষের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা দেওয়া হলো:

১. অতিরিক্ত সেবন এড়ানো:

  • দীর্ঘ সময় ধরে বা অতিরিক্ত পরিমাণে জিনসেং সেবন করলে উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, এবং নিদ্রাহীনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২. গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েরা:

  • গর্ভবতী নারী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য কোরিয়ান জিনসেং সেবন নিরাপদ নয় বলে মনে করা হয়। তাই তারা এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৩. রক্তপাতের সমস্যা:

  • যাদের রক্তপাতের সমস্যা রয়েছে বা যারা রক্তপাতের ঝুঁকিতে আছেন, যেমন অস্ত্রোপচারের সময়, তাদের জন্য কোরিয়ান জিনসেং সেবন বিপজ্জনক হতে পারে। এটি রক্ত পাতলা করার ক্ষমতা রাখে, ফলে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

৪. মধুমেহ রোগীরা:

  • যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে কোরিয়ান জিনসেং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, তাই এটি সেবনের সময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

৫. ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া:

  • কোরিয়ান জিনসেং কিছু ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যেমন ব্লাড থিনার, ইনসুলিন, এন্টিডিপ্রেসেন্ট, এবং কিছু হার্টের ওষুধ। তাই যদি আপনি কোনো ওষুধ সেবন করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জিনসেং সেবন করা উচিত।

৬. স্নায়বিক সমস্যা:

  • কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কোরিয়ান জিনসেং সেবনে উদ্বেগ বা নার্ভাসনেস হতে পারে। এছাড়া ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রার ঝুঁকি থাকে।

৭. দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার:

  • সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ ধরে জিনসেং খাওয়ার পর কিছুদিন বিরতি নেওয়া উচিত, কারণ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

সঠিক ডোজ এবং ব্যবহারের পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই শ্রেয়।

শেষ কথা

প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা জিনসেং কি, কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি, কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়, কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম এবং কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হয়নি এবং আপনারা উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।

আরো পড়ুন :- ফরজ নামাজের পর তাসবিহ সমূহআল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থরোজার সময়সূচি ২০২৪স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

Tag: জিনসেং কি, কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি, কোরিয়ান জিনসেং কোথায় পাওয়া যায়, কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার সতর্কতা, কোরিয়ান জিনসেং, কোরিয়ান জিনসেং এর উপকারিতা কি, কোরিয়ান জিনসেং খাওয়ার নিয়ম, কোরিয়ান জিনসেং এর দাম কত, কোরিয়ান জিনসেং ট্যাবলেট এর দাম কত, কোরিয়ান রেড জিনসেং খাওয়ার নিয়ম,  কোরিয়ান জিনসেং পাউডার এর দাম কত, কোরিয়ান রেড জিনসেং এর দাম, কোরিয়ান রেড জিনসেং ক্যাপসুল,  জিনসেং ট্যাবলেট কোরিয়ান, জিনসেং পাউডার কোরিয়ান, মিলনের টাইম বাড়ানোর উপায় কী?, সেক্স টাইম বাড়ানোর উপায়, যৌন শক্তি (Sexual Power) বাড়ানোর উপায়, যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর সাত উপায়,  যৌনশক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়, সেক্স এর সময় বাড়ানোর উপায়, koriyen ginseng kothay paoya jay, biobrun.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top