রেলওয়ে পরিবহন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সারাদেশে সংযোগ এবং ভ্রমণ সুবিধা প্রদান করে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সংযোগকারী খুলনা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত একটি ট্রেন চলাচল তার বিশেষ সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা এবং সুসংবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেকেই রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা না জানার কারনে টিকেট কেনার সময় বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়।
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে রাজশাহী টু যশোর রুটে কয়টি ট্রেন চলে, রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের ভাড়া তালিকা ২০২৪, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন কোথায় কোথায় থামে, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম এবং রাজশাহী টু যশোর ট্রেন ভ্রমনে কিছু সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পরলে আপনি আপনার সঠিক সময় বজায় রাখে আপনার গন্তব্য স্তানে রওনা দিতে পারেন। তাই আরও বিস্তারিত জানতে সম্পুন্ন আর্টিকেল পড়ুন:
রাজশাহী টু যশোর রুটে কয়টি ট্রেন চলে
রাজশাহী টু যশোর রুটে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন প্রায় দুটি আন্তঃনগর মেইল ট্রেন রয়েছে। মেইল ট্রেন সপ্তাহে সাত দিন চলে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের তালিকাঃ
■ আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস (762)
■ আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (716)
■ মহানন্দা মেইল
রাজশাহী টু যশোর রুটে দুটি ট্রেন রাজশাহী থেকে যশোর এবং যশোর থেকে রাজশাহী রুটে, আন্তঃনগর সাগর কার এক্সপ্রেস এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস সপ্তাহান্তে ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করে। এই দুটি ট্রেন রাজশাহী থেকে ছেড়ে যশোর হয়ে খুলনা যায়।
মহানন্দা মেইল ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে যশোর হয়ে খুলনা যায়। এই ট্রেন সপ্তাহে সাত দিন চলে। রাজশাহী থেকে যশোর রুটে সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিদিন তিনটি ট্রেন রয়েছে। তিনটি ট্রেনের সময়সূচী নিচে উল্লেখ করা হলো।
রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪
■ আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস (762): আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল 6:00 টায় ছেড়ে যায় এবং 10:35 টায় যশোর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সোমবার।
■ আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (716)
আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর 2:30 টায় ছেড়ে যায় এবং যশোর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় সন্ধ্যা 7:05 টায়। রবিবার আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির সাপ্তাহিক বন্ধ রয়েছে৷
■ মহানন্দা মেইল: মহানন্দা মেইল ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৮:১৫ টায় ছেড়ে যায় এবং যশোর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৩:০০ টায়। মহানন্দা মেইল ট্রেন সপ্তাহে সাত দিন চলাচল করে।
মহানন্দা মেইল ট্রেনটি একটি মেল ট্রেন হওয়ায় কখনও কখনও যশোরে পৌঁছাতে সময়সূচী থেকে কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে কারণ সমস্ত স্টেশন থামানো এবং সফল আন্তঃনগর ট্রেনগুলিকে ক্রসিংগুলিতে সাইট দেওয়ার কারণে।
রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের ভাড়া তালিকা ২০২৪
রাজশাহী টু যশোর রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসে ৩টি ক্লাস সিট রয়েছে। সেগুলো হল শোভন চেয়ার, জিপ্টা এসি চেয়ার, এসি এস কেবিন। এই আসনগুলোর ভাড়ার তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো
- ডেকোরেটিভ চেয়ার 260 টাকা
- নরম চেয়ার ৪৯৫ টাকা
- এসি কেবিন ৫৯৩ টাকা
- মহানন্দা মেইল ভাড়া 90 টাকা
তবে, ভাড়া নির্ভর করে আসন শ্রেণীর উপর। সাধারণত, নিম্নলিখিত শ্রেণীগুলির ভাড়া এই রুটে প্রযোজ্য:
- শুভ্র সিট (Shovon Chair): প্রায় ২৮০ টাকা
- শুভ্র চেয়ার (Shovon Chair): প্রায় ৩৪০ টাকা
- ফার্স্ট ক্লাস সিট (First Class Seat): প্রায় ৪৫০ টাকা
- স্নিগ্ধা (Snigdha): প্রায় ৫৫০ টাকা
- এসি সিট (AC Seat): প্রায় ৬৫০ টাকা
- এসি কেবিন (AC Cabin): প্রায় ৯৫০ টাকা
উপরে উল্লিখিত ভাড়ার তালিকা হল রাজশাহী থেকে যশোর রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা। এই দুটি ট্রেন, আন্তঃনগর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, উপরে উল্লিখিত ভাড়া তালিকা সহ রাজশাহী থেকে যশোর রুটে চলাচল করছে।
মহানন্দা ট্রেনটি একটি মেইল ট্রেন হওয়ায় এই ট্রেনটির সামান্য যশোর এবং রাজশাহীতে খুলনা রয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে সফল গন্তব্য। রাজশাহী থেকে যশোর রুটে মহানন্দা মেইল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ৯০ টাকা। মানে রাজশাহী থেকে যশোর মহানন্দা মেইল ট্রেনের ভাড়া ৯০ টাকা।
রাজশাহী টু যশোর ট্রেন কোথায় কোথায় থামে
রাজশাহী টু যশোর রুটে আন্তঃনগর সাগরদন্ডী এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনে থামে এবং যাত্রী উঠায়। আন্তঃনগর সাগরদানি এক্সপ্রেস এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস কিছু স্টেশনে বিরতিহীনভাবে চলাচল করে। 4
- রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন
- আব্দুলপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- ঈশ্বরদী জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- পাকশী রেলওয়ে স্টেশন
- ভেড়ামারা রেলস্টেশন
- মিরপুর রেলস্টেশন
- পোড়াদহ রেলওয়ে স্টেশন
- আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
- চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
- দর্শনা হল্ট রেলওয়ে স্টেশন
- সফদরপুর রেলওয়ে স্টেশন
- কোটচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন
- মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর রেলওয়ে স্টেশন
আন্তঃনগর সাগর কার এক্সপ্রেস এবং আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় এবং উল্লিখিত স্টেশনগুলিতে বিরতি দিয়ে রাজশাহী থেকে যশোর পর্যন্ত চলে।
মহানন্দা ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায় এবং মেইলের ফলে সুফপুর স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে যশোর পৌঁছায়।
আরো পড়ুন :- রাজশাহী থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী এবং ভাড়া তালিকা ২০২৪
রাজশাহী টু যশোর ট্রেন অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
রাজশাহী থেকে যশোর রুটে ট্রেনের টিকেট অনলাইনে কাটার জন্য আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
ধাপ ১: রেলওয়ে ই–টিকিটিং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
প্রথমে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন।
ধাপ ২: অ্যাকাউন্ট তৈরি বা লগইন
- যদি আপনার একটি অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে “Sign Up” বোতামে ক্লিক করে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- যদি আপনার একটি অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে “Login” বোতামে ক্লিক করে আপনার ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
ধাপ ৩: টিকেট অনুসন্ধান
- লগইন করার পর, হোমপেজে “From Station” এবং “To Station” ফিল্ডে যথাক্রমে “Rajshahi” এবং “Jessore” নির্বাচন করুন।
- যাত্রার তারিখ নির্বাচন করুন এবং “Search Train” বোতামে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: ট্রেন নির্বাচন
- প্রদর্শিত ট্রেনগুলির মধ্যে আপনার পছন্দের ট্রেন নির্বাচন করুন।
- ট্রেনের সময়সূচী ও আসন সংক্রান্ত তথ্য দেখে আসন শ্রেণী নির্বাচন করুন (যেমন: Shovon Chair, Snigdha, AC Seat ইত্যাদি)।
ধাপ ৫: যাত্রী তথ্য প্রদান
- আসন নির্বাচন করার পর যাত্রীর তথ্য (যেমন: নাম, বয়স, লিঙ্গ ইত্যাদি) প্রদান করুন।
ধাপ ৬: পেমেন্ট
- সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করার পর “Proceed to Payment” বোতামে ক্লিক করুন।
- পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে আপনার পছন্দের পেমেন্ট অপশন (যেমন: ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি) নির্বাচন করে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
ধাপ ৭: টিকেট ডাউনলোড
- পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনার টিকেটটি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।
এভাবে আপনি অনলাইনে রাজশাহী থেকে যশোর রুটের ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবেন। যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাস্টমার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
রাজশাহী টু যশোর ট্রেন ভ্রমনে কিছু সতর্কতা
রাজশাহী থেকে যশোর ট্রেন ভ্রমণে কিছু সতর্কতা মেনে চললে আপনার যাত্রা আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা দেওয়া হলো:
ভ্রমণের পূর্বে
- টিকেট নিশ্চিত করুন: আপনার ট্রেনের টিকেটটি আগে থেকে নিশ্চিত করে নিন এবং এটি সংরক্ষণ করুন। অনলাইনে টিকেট কাটার সময় প্রিন্টেড কপি বা মোবাইলে সংরক্ষিত টিকেট সঙ্গে রাখুন।
- সময়সূচী যাচাই করুন: ট্রেনের সময়সূচী আগে থেকে যাচাই করে নিন। ট্রেন ছাড়ার সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছান।
- প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র: যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন পরিচয়পত্র, টিকেট, পানি, খাবার ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন।
স্টেশনে
- সময়মতো স্টেশনে পৌঁছান: স্টেশনে সময়মতো পৌঁছে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
- সতর্ক থাকুন: স্টেশনে বা ট্রেনে কোন অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র নিজের কাছে রাখুন।
ট্রেনে
- জিনিসপত্রের নিরাপত্তা: আপনার ব্যাগ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র সুরক্ষিত স্থানে রাখুন। বিশেষ করে রাতের ট্রেন ভ্রমণে জিনিসপত্রের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: ট্রেনে যাত্রার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। হাত ধোয়ার জন্য স্যানিটাইজার বা সাবান সঙ্গে রাখুন এবং প্রয়োজনে মাস্ক পরিধান করুন।
- সহযাত্রীদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ: সহযাত্রীদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন এবং ট্রেনের নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।
- নিরাপত্তা সতর্কতা: ট্রেনের দরজা ও জানালার কাছে বেশি সময় না কাটানো ভালো। চলন্ত ট্রেন থেকে কোনোকিছু ফেলার চেষ্টা করবেন না।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
- স্টেশনে নিরাপত্তা: যশোর স্টেশনে পৌঁছানোর পর সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আপনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগে থেকে করে রাখুন।
- যোগাযোগের তথ্য সংরক্ষণ: জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য স্থানীয় পরিচিত বা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ফোন নম্বর সংরক্ষণ করুন।
আশা করি এই সতর্কতাগুলি মেনে চললে আপনার যাত্রা আরামদায়ক ও নিরাপদ হবে। শুভ যাত্রা!
আরো পড়ুন :- সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা ২০২৪
রাজশাহী টু যশোর ট্রেন ভ্রমনে সুবিধা কি কি
রাজশাহী থেকে যশোর ট্রেন ভ্রমণে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যা ভ্রমণকে আরামদায়ক ও সুবিধাজনক করে তোলে। নিচে কিছু প্রধান সুবিধা উল্লেখ করা হলো:
১. আরামদায়ক যাত্রা
- আরামদায়ক আসন: ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণীর আসন, যেমন শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এবং এসি সিট, যাত্রীদের আরাম নিশ্চিত করে।
- কম্পার্টমেন্ট সুবিধা: এসি কেবিন এবং প্রথম শ্রেণীর আসনগুলি ব্যক্তিগত কম্পার্টমেন্টের সুবিধা প্রদান করে, যা যাত্রাকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।
২. দৃশ্যমান পরিবেশ
- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ট্রেন ভ্রমণের সময় বাইরে দেখতে পাবেন গ্রামাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সবুজ ফসলের মাঠ।
- বিশ্রাম ও বিনোদন: চলন্ত ট্রেনে আপনি বাইরে দেখতে দেখতে বিশ্রাম নিতে পারবেন, যা বাস বা গাড়ির যাত্রার তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক।
৩. নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা
- নিরাপত্তা: ট্রেন ভ্রমণ সাধারণত নিরাপদ এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়।
- সময়নিষ্ঠা: ট্রেন সাধারণত নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী চলে, যা যাত্রা পরিকল্পনায় সহায়ক হয়।
৪. অর্থনৈতিক সুবিধা
- খরচ সাশ্রয়ী: ট্রেনের টিকেটের মূল্য সাধারণত বাস বা গাড়ির তুলনায় সাশ্রয়ী হয়, বিশেষ করে দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে।
- বিভিন্ন শ্রেণীর আসন: বিভিন্ন শ্রেণীর আসনের মাধ্যমে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী টিকেট নির্বাচন করতে পারবেন।
৫. পরিবেশবান্ধব
- কম কার্বন নিঃসরণ: ট্রেন পরিবহন বাস বা ব্যক্তিগত গাড়ির তুলনায় কম কার্বন নিঃসরণ করে, যা পরিবেশের জন্য ভালো।
৬. অতিরিক্ত সুবিধা
- খাবার ও পানীয়: কিছু ট্রেনে খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা থাকে, যা যাত্রাকে আরও সুবিধাজনক করে।
- বাথরুম: ট্রেনে বাথরুমের ব্যবস্থা থাকে, যা দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাজনক।
৭. খুলনা থেকে রাজশাহী ট্রেনের প্রচার
খুলনা ও রাজশাহী দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, এই দুটি অত্যন্ত গতিশীল ও উন্নত শহর অনেক উদ্যোগ নিয়ে বিক্রি করছে। এই দুটি শহরের মধ্যে ট্রেন ভ্রমণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, একদিকে এটি তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংহতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
৮. ট্রেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা
খুলনা থেকে রাজশাহী ট্রেনে ভ্রমণ একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। ট্রেনটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা করার সাথে সাথে যাত্রীরা একটি বৃহত্তর পরিবেশে এবং স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারে। ট্রেন যাত্রা দিনের চাপ উপশম করে এবং ভ্রমণের আনন্দ অনুভব করতে পারে।
৯. স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুভূতি
ট্রেন চলাকালীন, যাত্রীদের স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুভূতি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাজশাহী একটি ঐতিহ্যবাহী শহর, এখানে আপনার জন্য প্রাচীন মহাস্থানগড় বা ভবিষ্যতের উন্নত অনুভূতি অনুভব করার একটি উপায় রয়েছে। ট্রেন যাত্রার সময়, আপনি একাধিক প্রস্তুতি নিতে পারেন এবং ভ্রমণের মাধ্যমে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি অনুভব করতে পারেন।
১০. সময় ভালো কাটে
খুলনা থেকে রাজশাহী ট্রেনে ভ্রমণ একটি অভিজ্ঞতা, যা যাত্রীদের তাদের জীবনের একটি অবিস্মরণীয় সময় দেয়। আপনার প্রিয় বইটি পড়ার, সোনার খনির কাজ করার বা কারও সাথে আড্ডা দেওয়ার এই সময়। ট্রেন ভ্রমণ যাত্রীদের জন্য একটি সময়-অনুভূতি অবকাশ যা তাদের জন্য এমন অভিজ্ঞতার সুযোগ দেয় যা আগে কখনও হয়নি।
এইসব সুবিধা ট্রেন ভ্রমণকে একটি আরামদায়ক, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে প্রমাণিত করে।
শেষ কথা
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে রাজশাহী টু যশোর রুটে কয়টি ট্রেন চলে, রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের ভাড়া তালিকা ২০২৪, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন কোথায় কোথায় থামে, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম এবং রাজশাহী টু যশোর ট্রেন ভ্রমনে কিছু সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।
আরো পড়ুন :- সিলেট টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া এবং সময়সূচী ২০২৪
Tag: রাজশাহী টু যশোর রুটে কয়টি ট্রেন চলে, রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪, রাজশাহী টু যশোর ট্রেনের ভাড়া তালিকা ২০২৪, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন কোথায় কোথায় থামে, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম, রাজশাহী টু যশোর ট্রেন ভ্রমনে কিছু সতর্কতা, Rajshahi to Jessore Train Schedule 2024, biborun.com
