আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস অর্থ কি

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আজকে এই পোস্টে আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস এবং আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ চাওয়া, জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন? নিয়ে আলোচনা করব আশা করি ভালো লাগবে অনেক আপনারা দেখুন।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ'উযু বিকা মিনান্নার, আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ চাওয়া, জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন, যে আমল দ্বারা অনেক বড় গুনাহ মাফ হয়ে যায়, Allahumma Inni Asalukal Jannatul Firdaus,  biborun.com

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস অর্থ কি

আল্লাহুম্মা ইন্নি আস আলুকাল জান্নাতুল ফিরদাউস  ।এর অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

তোমরা যখন প্রার্থনা করবে তখন জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করবে । কেননা , এটি সর্বোৎসৃষ্ট এবং সর্বোচ্চ জান্নত””

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাহ অর্থ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাহ অর্থ হলো: হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট জাহান্নাম থেকে পানাহ চাই।

আল্লাহ তাআলার নিকট জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া আমলগুলো : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনান্নার। অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট জাহান্নাম থেকে পানাহ চাই।

হযরত সালমান রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূলুল্লাহ সাঃ সাবানের শেষ তিন রমজানের আগামীর খুতবায় এরশাদ করেন ,

অর্থ : তোমাদের এই মাসে (অর্থাৎ রমজান মাসে) চারটি কাজ বেশি বেশি করতে থাকবে। এগুলোর মধ্যে দুটি কাজ এমন যেগুলো তারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন জানা করে তোমাদের উপায় নেই। প্রথম যে দুটি কাজ ধারা তোমাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভ করবে তা হল অধিক পরিমাণে কালেমায়ে তাইবা পড়বে এবং ইস্তেগফার বেশি বেশি পড়বে।

যে দুটি কাজ না করে তোমাদের উপায় নাই সেগুলো হল, আল্লাহ তাআলার নিকট জান্নাত চাইবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবে। – সহীহ ইবনে ।সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ১৮৮৭; বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীস নং( ৩৬০৮)

এই হাদিস থেকে বুঝতে পারি আমরা রমজান মাসে চারটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। প্রথমত  অনেক বেশি কালেমা তাইয়্যেবা অর্থাৎ لا إله إلا الله (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ)  করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ইস্তেগফার করা অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নিকট ক্ষমা বেশি থেকে বেশি প্রার্থনা করা।  উদাহরণ হিসেবে আপনারা যা করবেন  তা হলো : যেমন أَسْتَغْفِرُ الله (আস্তাগফিরুল্লাহ)

যে আমল দ্বারা অনেক বড় গুনাহ মাফ হয়ে যায়

সুনানে আবু দাউদ ও তিরমিজি শরীফ হতে বর্ণিত হয়েছে যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত ইস্তেগফারটি পড়বে তাকে মাফ করে দেয়া হবে যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পালন করে। অর্থাৎ আমরা বুঝতে পারি অনেক বড় গুনাহ করলেও তাকে মাফ করে দেয়া হবে।

ইস্তেকফার টি হল  أَسْتَغْفِرُ الله الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতু-বু ইলাইহি।

অর্থ: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি – যিনি চিরস্থায়ী চিরঞ্জীব, আমি তাঁর কাছেই তওবা করছি।

আল্লাহতালার নিকট জান্নাত চাওয়ার দোয়া

আল্লাহ তায়ালার নিকটে জান্নাত চাওয়ার দোয়া : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাহ।

অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট জান্নাত চাই।

আল্লাহ তায়ালার নিকট জাহান্নাম থেকে মুক্তি  চাওয়ার দোয়া

আল্লাহ তায়ালার নিকটে জাহান্নাম থেকে মুক্তি  চাওয়ার দোয়া :اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনান্নার।

অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট জাহান্নাম থেকে পানাহ চাই।

আশা করি এই তথ্য গুলো  আপনার  অনেক ভালো লেগেছে ।অবশ্যই আমি এবং আপনি  এবং আমারা  যেন এই আমলগুলো প্রতিনিয়তই করতে পারি সেজন্য আমার জন্য দোয়া রাখবেন এবং আমি চাই আপনি যেন এই আমলগুলো করতে পারেন ।

প্রতিনিয়তই এ ধরনের তথ্য ভুল পোস্ট করার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন কেননা আমার এই ওয়েবসাইটে এ ধরনের পোস্টগুলো করা হয়ে থেকে প্রতিনিয়তই ধন্যবাদ সম্পূর্ণ পোস্টে পড়ার জন্য ।

জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন

জান্নাতুল ফিরদাউস আল্লাহর কাছে চাইতে হলে নিচের দোয়াটি পড়তে পারেন:

দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।”

অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি।”

নিয়মিত এই দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করা যেতে পারে। এছাড়া, সালাতের শেষে বা অন্যান্য ইবাদতের পরেও আল্লাহর কাছে জান্নাতুল ফিরদাউস চাওয়া যেতে পারে। আল্লাহ আমাদের সকলকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমিন।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ'উযু বিকা মিনান্নার, আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ চাওয়া, জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন, যে আমল দ্বারা অনেক বড় গুনাহ মাফ হয়ে যায়, Allahumma Inni Asalukal Jannatul Firdaus,  biborun.com

আরো পড়ুন :- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউসআল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি আরবি  । জাহান্নাম থেকে আশ্রয় এবং জান্নাত চাওয়ার দোআ ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া উযু বিকা মিনান্নার

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে,

“হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো”।

যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দুয়া করে,

“হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও”।

(তিরমিজি ২৫৭২)

(আরবির উচ্চারণ বাংলায় লেখা কখনই সম্ভব নয়; সুতরাং আরবি দেখে মিলিয়ে শিখুন। না হয় ভুল হবার সম্ভাবনা থাকবে।

আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ চাওয়া, জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন?

রাসুল (সাঃ) বলেন, তোমরা যখন প্রার্থনা করবে তখন জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করবে। কেননা, এটি সর্বোৎকৃষ্ঠ এবং সর্বোচ্চ জান্নাত। (বুখারি-২৭৯০)

কিভাবে চাইবেন আল্লাহর কাছে-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَجَنّٰتَ الفِردَوس

উচ্চারনঃ আল্ল-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা জান্নাতাল ফিরদাউস।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান কর।

কখন চাইবেন-

এটি যেহেতু আমাদের সবচেয়ে বড় এবং প্রধানতম চাওয়া মহান রবের কাছে তাই সবসময় এই দোয়া করবেন তবে বিশেষ কিছু সময় রয়েছে যখন দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, সেই সময়গুলোতে এই দুয়াটা বারবার বলবেন, তেমন কিছু সময় জেনে নিন-

১- আযান ইকামতের মধ্যবর্তী সময়-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দুআ ফেরত দেয়া হয় না। সুতরাং তোমরা দুআ কর। (তিরমিজী ও আহমদ) অর্থাৎ আজান হওয়ার পড় মসজিদে সলাত আরম্ভ হওয়ার আগ পর্যন্ত।

২- সিজদার মধ্যে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় যখন সে সেজদারত থাকে। সুতরাং তোমরা এ সময় বেশি করে দুআ কর। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)।

সেজদায় কুরআনের আয়াত বলা নিষেধ কিন্তু যে কোন দোয়া যে কবুল হওয়ার জন্য কতটা উপযোগী সেটা তো বুঝতেই পারছেন, জীবনের সব সলাতের সব রাকাতে সব সেযদাতেই সেযদার দোয়া বলার পড় এই দোয়াটা করবেন ইন-শা-আল্লাহ।

৩- জুমআর দিনের শেষ অংশে- প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :জুমআর দিন বারটি ঘন্টা। এর মধ্যে এমন একটি সময় আছে, সে সময় একজন মুসলিম বান্দা যা আল্লাহর কাছে চায়, তা-ই তিনি দিয়ে দেন। তোমরা সে সময়টি আছরের পর দিনের বাকী অংশে তালাশ কর। (আবু দাউদ, নাসায়ী)

শেষ কথা:

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস এবং আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ চাওয়া, জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন? নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এবং আপনি নিবন্ধটি পছন্দ করেছেন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

আরো পড়ুন :- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউসআল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি আরবি  । জাহান্নাম থেকে আশ্রয় এবং জান্নাত চাওয়ার দোআ ঋণ থেকে মুক্তি এবং কোটিপতি হওয়ার কোরআনী আমল

Tag: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতুল ফেরদাউস, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার, আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ চাওয়া, জান্নাতুল ফিরদাউস কিভাবে আল্লাহর কাছে চাইবেন, যে আমল দ্বারা অনেক বড় গুনাহ মাফ হয়ে যায়, Allahumma Inni Asalukal Jannatul Firdaus,  biborun.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top