আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম অর্থ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আশা করি সকলে ভাল আছেন। শ্রেয় মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হল, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম  / আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ হুকুম কি? এটি জায়েজ না জায়েজ? তাই আজকে আমি আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম এবং আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ অর্থ কি তা নিয়ে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়লে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। তাহলে আর কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক:

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খ্বাতাবান-নাবীইন, Assalatu Assalamu ala Rasulihil Karim, biborun.com

আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম অর্থ

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম।

আল্লাহ কুরআন মাজীদে বলেছেন,

“যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ।” [আল কুরআন ২:২৬১]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না।” [আল কুরআন ২:২৬৭]

“তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তিনি তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে ব্যয় কর। অতএব, তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও ব্যয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে মহাপুরস্কার।” [আল কুরআন ৫৭:৭]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিখিয়েছেন, নিজের ভাই এর দিকে তাকিয়ে দেয়া ছোট্ট এক চিলতে মুচকি হাসিও হতে পারে সাদাকা। তাই মুসলিম হিসেবে নিজের মুখের হাসি আমরা সাদাকা তো করবই, সাথে অন্যের মুখেও যাতে হাসি ফোটে সেই লক্ষ্যে আল্লাহর দেয়া রিযিক থেকে ব্যয় করাও আমাদের দায়িত্ব।

সাদাকা এমন একটি অলাভজনক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান, যারা ইনশাআল্লাহ নিশ্চিত করবে আপনার আমার সাদাকা করা অর্থ ও সম্পদ যাতে ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় যোগ্য প্রাপকের কাছে পৌঁছে যায়।

আল্লাহ বলেন, “ব্যয় কর হে আদম সন্তান! আমি তোমার জন্য ব্যয় করব।”

[সহীহ আল বুখারী : ৫৩৫২]

আল্লাহ আমাদের উদ্যোগ এবং সকলের সাহায্য কবুল করে নিক আমিন।

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খ্বাতাবান-নাবীইন, Assalatu Assalamu ala Rasulihil Karim, biborun.com

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ অর্থ কি

আরো পড়ুন :- রোজা রাখার নিয়ত ফরজ নামাজের পর তাসবিহ সমূহআল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থরোজার সময়সূচি ২০২৪স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা ইবাদত বন্দেগিতে মন বসাতে যে দোয়া পড়বেন আম্মাবাদ শব্দের অর্থ কিহাজতের নামাজের দোয়া যানবাহনে চলাচলের দোয়া

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যৎ বাণী কত সত্য ভাবে প্রকাশিত হয়েছে!! তিনি বলেছেন:

(ألا إني أوتيت الكتاب ومثله معه لا يوشك رجل شبعان على أريكته يقول عليكم بهذا القرآن فما وجدتم فيه من حلال فأحلوه وما وجدتم فيه من حرام فحرموه)

“জেনে রাখ, আমি কুরআন প্রাপ্ত হয়েছি এবং তার সাথে আরও অনুরূপ আরেকটি জিনিস (তা হল হাদীস)। অচিরেই দেখা যাবে, এক লোক ভরা পেটে তার খাটের উপর থেকে বলবে: তোমরা এই কুরআনকে আঁকড়ে ধর। এতে যে সকল বস্তু হালাল পাবে সেগুলোকে হালাল মনে কর, আর যে সব বস্তুকে হারাম পাবে সেগুলোকে হারাম মনে কর।“ (আবু দাউদ, মিকদাদ ইবনে মাদিকারাব থেকে বর্ণিত, সনদ সহীহ)

উক্ত হাদীসটি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াতের সত্যতার প্রমাণ বহন করে। কারণ, নবুওয়তের যুগ পার হওয়ার পরপরই শিয়া ও খারেজী সম্প্রদায়ের হাত ধরে বিভিন্ন দল তৈরি হয় তারা হাদীসের উপর আক্রমণ শুরু করে। তারা বলে কুরআনই যথেষ্ট এবং হাদীস ও সু্ন্নাহকে প্রত্যাখ্যান করে।

মতভেদ হলে আল্লাহর কুরআন এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাদীছ থেকে সমাধান নিতে হবে:

অসংখ্য আয়াতে আল্লাহর কথা মেনে নেয়ার সাথে সাথে রাসূলের কথাকেও মানতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর..।” (মুহাম্মাদঃ ৩৩) আরও সূরা নূর: ৫৪।

আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খ্বাতাবান-নাবীইন

এই বাক্যটি একটি ইসলামিক দোয়া বা সালাম, যা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি প্রেরণ করা হয়। এর অর্থ হলো:

“নবীদের শেষ নবীর প্রতি শান্তি ও আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।”

এটি মূলত মুসলমানদের মধ্যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।

শেষ কথা

প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খ্বাতাবান-নাবীইন নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।

আরো পড়ুন :- রোজা রাখার নিয়ত ফরজ নামাজের পর তাসবিহ সমূহআল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম অর্থরোজার সময়সূচি ২০২৪স্বপ্নে স্বর্ণ দেখলে কি হয় ইসলামিক ব্যাখ্যা ইবাদত বন্দেগিতে মন বসাতে যে দোয়া পড়বেন আম্মাবাদ শব্দের অর্থ কিহাজতের নামাজের দোয়া যানবাহনে চলাচলের দোয়া

Tag:  আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিহিল কারিম, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া খ্বাতাবান-নাবীইন, Assalatu Assalamu ala Rasulihil Karim, biborun.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top