বাচ্চাদের কাশির ঔষধের নাম কি তা জানতে পাঠকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। কারন, শিশুর জন্মের পর, প্রতিটি পিতামাতা তাদের শিশুকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছোট শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় একটু ঠান্ডা বা গরমের কারণে হঠাৎ সর্দি কাশি দেখা দেয়। ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের সর্দি-কাশি বেশি হয়, তাই আজ আমরা শিশুদের সর্দির ওষুধের নাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক, আজ আমি আপনাদের বাচ্চাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলে আমরা বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয়, কাশি হওয়ার কারণ এবং বাচ্চাদের কাশির ঔষধের নাম নিয়ে আলোচনা করব। আমার এই পোস্টের মাধ্যমে শিশুদের সর্দি-কাশির ওষুধের নাম, সর্দি-কাশির ওষুধের দাম, সর্দি-কাশির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম জানতে পারবেন। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন। তো চলুন নিবন্ধটি শুরু করা যাক:-
কাশি হওয়ার কারণ
কাশির অনেক কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত গরম, ধুলাবালি, ঋতু পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশি হতে পারে। অতিরিক্ত গরম শরীরের ঘামের কারণে সর্দি জ্বর কাশিও হতে পারে যা আজকাল খুব সাধারণ। তাই ঘাম দিয়ে গোসল করা উচিত নয়। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের কারণে কাশি হতে পারে।
বড়দের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ধূমপানের কারণে কাশি হয়। দীর্ঘমেয়াদী তামাক ব্যবহারের ফলে ধূমপায়ীর শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে এমন রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া শুষ্ক কাশির কারণ হয়।
শিশুদের জ্বর, সর্দি–কাশি হলে কী করবেন
- শিশুদের খোলা এবং বাতাসযুক্ত পরিবেশে রাখতে হবে।
- অতিরিক্ত পোশাক পরবেন না।
- আক্রান্ত শিশুদের এই সময়ে স্কুলে পাঠানো যাবে না।
- তরল খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। নবজাতকের ক্ষেত্রে মায়ের বেশি করে বুকের দুধ পান করা উচিত।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- অবশ্যই শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশির ওষুধের নাম জেনে সিরাপ ওষুধ খাওয়া উচিত।
- পরিস্থিতি জটিল হলে নিকটস্থ ডাক্তার বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
- বাড়ির সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
বাচ্চাদের কাশির ঔষধের নাম
শিশুর জন্মের পর বিভিন্ন কারণে শিশুদের ঠান্ডা লেগে যায়, তাই প্রত্যেক পিতা-মাতার জন্য ঠান্ডার ওষুধের নাম জানা খুবই জরুরি। শিশুর হঠাৎ সর্দি-কাশি হলে অবশ্যই বাড়ির কাছের যে কোনো ফার্মেসি থেকে নিচের সিরাপগুলো এনে শিশুকে খাওয়াতে হবে। তাহলে আপনার সন্তানের সর্দি কাশি এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। নিম্নলিখিত সিরাপগুলি কোনও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই শিশুদের দেওয়া যেতে পারে।
- Remocof 100 ml Remocof সিরাপ মূল্য 65 টাকা।
- Adolef (Adolef) 100 ml Adolef সিরাপ মূল্য 65 টাকা।
- Adovas (Adovas) 200 ml Adovas সিরাপ মূল্য 110 টাকা।
- ই-কফ প্লাস (ই-কফ প্লাস) 100 মিলি ই-কফ প্লাস সিরাপের দাম 80 টাকা।
- Abex (Abex) Abex সিরাপ 100 মিলি সিরাপের দাম 35 টাকা।
- মধুবাস (মধুবাস) 100 মিলি মধুবাস সিরাপ মূল্য 100 টাকা।
- 100 মিলি নেক্টার সিরাপ এর দাম 40 টাকা।
- Ambrox (Ambrox) 100 ml Ambrox সিরাপ মূল্য 50 টাকা।
- O-cof (o-cof) 100 ml O-cof সিরাপ এর দাম 110 টাকা।
শিশুদের কাশির সিরাপ
শিশুদের সর্দি কাশি একটি সাধারণ রোগ তাই শিশুদের যে কোনো সময় সর্দি কাশি হতে পারে। তাই আমরা যদি বাচ্চাদের সর্দি-কাশির সিরাপের নাম জানি তাহলে যে কোনো সময় শিশুর চিকিৎসা করা যেতে পারে। শিশুদের জন্য ঠান্ডা কাশির সিরাপগুলির জন্য ডাক্তারের পরামর্শের প্রয়োজন হয় না তাই আপনি নীচের তালিকা থেকে আপনার শিশুকে যেকোনো সিরাপ দিতে পারেন।
শিশুদের সর্দি কাশির ওষুধের নাম:
- তুশকা প্লাস 100 মিলিগ্রাম।
- এডোভাস 100 মিলিগ্রাম।
- নেক্টার 100 মিলিগ্রাম।
- মধু 100 মিলিগ্রাম।
- Remocof 100 মিলিগ্রাম।
- বক্সোল 100 মিলিগ্রাম।
- ওকেএফ 100 মিলিগ্রাম।
- অ্যামব্রক্স 100 মিলিগ্রাম।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
আপনার শিশুর সর্দি কাশি হলে অবশ্যই আপনার শিশুকে ঠান্ডা সিরাপ দিতে হবে। তাই যেসব বাবা-মায়েরা ঠাণ্ডা সিরাপ খাওয়ানোর নিয়ম জানেন না তাদের অবশ্যই নিচের তালিকা অনুযায়ী বাচ্চাদের ঠান্ডা সিরাপ খাওয়ানোর নিয়ম জেনে নিন।
0 থেকে 1 বছরের সমস্ত শিশুকে দিনে দুবার আধা চা চামচ খাওয়ানো উচিত।
1 থেকে 3 বছরের সমস্ত শিশুকে দিনে দুবার এক চা চামচ খাওয়াতে হবে।
3 থেকে 6 বছর বয়সী সকল শিশুর দিনে দুবার দেড় চা চামচ খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুন :- বুকের কফ বের করার সিরাপ । গলায় কফ আটকে থাকলে কি করনীয় । বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ । ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা সঠিক নিয়ম । ক্রিয়েটিনিন লেভেল কত হলে ভালো। প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি মলম । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় । পেগনেট টেস্ট করার নিয়ম । কাঠি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম
বাচ্চাদের সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
আপনারা যারা ইন্টারনেটে সর্দি-কাশির অ্যান্টিবায়োটিক নাম নিয়ে কোর্স করছেন তাদের জন্য আমার একটি কথা আছে। আপনার সন্তানদের কখনই ইন্টারনেট বা অন্য কোনো মাধ্যমে সর্দি-কাশির অ্যান্টিবায়োটিকের নাম খাওয়ানো উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ এটি পরবর্তীতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে।
অবশ্যই যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান। তাই আপনারা যারা শিশুদের সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিকের নাম জানতে চান তাদের জন্য এই প্রবন্ধের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিকের নাম দেওয়া হবে।
পেডিয়ামিন সিরাপ (সর্দি এবং কাশির জন্য)
ডোজ: পেডিয়ামিন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের একটি সিরাপ ওষুধ। যার জেনেরিক নাম ডিফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড। নবজাতক শিশু এবং শিশুদের সাধারণ সর্দি বা কাশি হলে তারা এটি গ্রহণ করতে পারেন। 3 থেকে 6 মাস বয়সী শিশুদের প্রতিদিন দুবার অর্ধেক (1/2) চা চামচ খাওয়ানো উচিত। 6 মাস থেকে 5 বছর বয়সী শিশুদের জন্য, অর্ধেক (1/2) চা চামচ দিনে তিনবার নিন। 6 থেকে 20 বছর বয়সী শিশুদের দিনে তিন থেকে চার বার এক চা চামচ খাওয়া উচিত। অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: শিশুদের মধ্যে পেডিয়ামিন সিরাপ এর কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
ধড়ফড়ানি, ঠান্ডা লাগা, বিভ্রান্তি, মাথা ঘোরা, তন্দ্রা, উচ্ছ্বাস, উত্তেজনা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, বিরক্তি, নার্ভাসনেস, অস্থিরতা, অবসাদ, খিঁচুনি, কোষ্ঠকাঠিন্য
মূল্য: পেডিয়ামিন 100 মিলি সিরাপের দাম 45 টাকা।
বাচ্চাদের কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
সেফ-৩ (সেফ-৩ সিরাপ) বর্তমানে বাজারে শিশুদের জন্য অনেক কাশির অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়। কিন্তু শিশুদের জন্য সেরা কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম হল Cef-3 (Cef-3 সিরাপ) তাই আপনারা যারা শিশুদের জন্য কাশির অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ খুঁজছেন তারা অবশ্যই এই সিরাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রিয় অভিভাবকগণ, আপনাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, আপনারা আপনাদের সন্তানদের কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে কারণ এটি পঞ্চম প্রজন্মের ওষুধ। ওষুধ দেওয়ার সময় যদি কোনও বিপরীতমুখী হয় তবে আপনার শিশুর বড় ক্ষতি হতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক Cef-3 (Cef-3 Syrup) খাওয়ান।
কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
(বড়দের ক্ষেত্রে) আপনার কাশি হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনার অ্যান্টিবায়োটিক দরকার। হুপিং কাশি, শুষ্ক কাশি, বুকে কফ জমার মতো সমস্যার কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে।
মধুঃ মধু অনেক রোগের মহৌষধ। এক গ্লাস উষ্ণ দুধে দুই চামচ মধু মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেলে কাশি কমে যাবে, গরম দুধ না থাকলে গরম পানিতে এক চামচ গোলমরিচের গুড় ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে আপনার কাশি সেরে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
তুলসি পাতা: সর্দি কাশির জন্য তুলসি পাতা খুবই উপকারী। তুলসী পাতার রসের সাথে দুই থেকে তিন ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে কাশি ভালো হয়।
বাসক পাতা: বাসক পাতা পানিতে সিদ্ধ করে কুসুম গরম অবস্থায় সেদ্ধ করে পান করলে কাশি দ্রুত সেরে যায়।
লবঙ্গ: কাশি দূর করতে লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। আপনার মুখে লবঙ্গ রাখুন এবং রস খাওয়ার জন্য দাঁত দিয়ে হালকাভাবে চেপে নিন। এটি সুখে কাশি দূর করবে।
শেষ কথা:
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয়, কাশি হওয়ার কারণ এবং বাচ্চাদের কাশির ঔষধের নাম নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এবং আপনি নিবন্ধটি পছন্দ করেছেন। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ধন্যবাদ
আরো পড়ুন :- বুকের কফ বের করার সিরাপ । গলায় কফ আটকে থাকলে কি করনীয় । বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ । ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা সঠিক নিয়ম । ক্রিয়েটিনিন লেভেল কত হলে ভালো। প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি মলম । মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় । পেগনেট টেস্ট করার নিয়ম । কাঠি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম
Tag: বুকে ঠান্ডা লাগলে করণীয়, কাশি হওয়ার কারণ, বাচ্চাদের কাশির ঔষধের নাম, baccader kashir oushuder name, biborun.com