আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া নিয়ম, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ এর দাম কত, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ অতিরিক্ত খেলে কি হয় এবং পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবনে কিছু সর্তকতা নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি মনোযোগ সহ পরলে আপনাদের ট্যাবলেট আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক:
আমাশয়
আমাশয় মানুষের অন্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ। সাধারণত Entamoeba histolytica (Entamoeba histolytica) বা Shigella (Shigella) গণের ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রকে সংক্রমিত করলে এ রোগ হয়। অন্ত্রের প্রভাবিত অংশে প্রদাহ দেখা দেয়, যার ফলে পেটে ব্যথা হয় এবং শ্লেষ্মা এবং রক্তের সাথে আলগা মল হয়। আমাশয় হল পেটে ঢেঁকুর তোলা এবং মলের মধ্যে শ্লেষ্মা সহ পাতলা শ্লেষ্মা বা রক্ত যাওয়া।
সংক্রামিত ব্যক্তির মল দ্বারা খাদ্য বা জল দূষিত হলে আমাশয় ছড়িয়ে পড়ে। এটি প্রায়ই ঘটে যখন সংক্রামিত লোকেরা তাদের হাত না ধোয়। শিগেলা নামক রড আকৃতির ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট আমাশয়কে শিগেলোসিস বলে। এই ধরনের আমাশয় মৃদু প্রকৃতির হতে পারে বা এটি হঠাৎ, গুরুতর এবং প্রাণঘাতী রূপ নিতে পারে।
আমাশয়ের কারণে শরীর তরল হারায় এবং পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পরবর্তী পর্যায়ে দীর্ঘস্থায়ী কোলন আলসার বা ঘা (আলসার) হতে পারে। চিকিত্সা হল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওষুধ (অ্যান্টিবায়োটিক), তরল প্রতিস্থাপন এবং কখনও কখনও রক্ত সঞ্চালন। এককোষী বা অ্যামিবিক আমাশয় এন্টামোয়েবা হিস্টোলাইটিকা নামক একটি অণুজীবের কারণে হয়ে থাকে। অ্যামিবিক আমাশয় দুটি রূপ নিতে পারে। একটি ফর্ম কলামার ব্যাকটেরিয়াল ডিসেনট্রির মতো, অন্যটি দীর্ঘস্থায়ী এবং বিরতিহীন (অন্তরন্ত) এবং কোলনে ক্ষত সৃষ্টি করে। এই ধরনের আমাশয় অ্যামিবিক ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়।
আমাশয় প্রকারভেদ
আমাশয় দুই ধরনের হয়ে থাকে: অ্যামিবাঘটিত আমাশয় এবং দণ্ড-ব্যাকটেরিয়াঘটিত (ব্যাসিলারি) আমাশয়। এদের সংক্রমণের কারণ ভিন্ন, রোগের লক্ষণ ভিন্ন এবং চিকিৎসাও ভিন্ন।
আমাশয় রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধের নাম
বাংলাদেশে আয়ুর্বেদিক আমাশয় ওষুধের নাম অনেকেই জানেন না তবে বেশিরভাগ মানুষ এটি ব্যবহার করেন। অনেকেই আয়ুর্বেদিক ওষুধকে ভেষজ ওষুধ বলে থাকেন। বাংলাদেশে আয়ুর্বেদিক আমাশয় ওষুধের নাম জেনে নিন-
তেঁতুল: দীর্ঘদিন আমাশয়ে ভুগলে বা পুরনো আমাশয় হলে ৪ থেকে ৫ গ্রাম তেঁতুল পাতা সিদ্ধ করে রস করে ছেঁকে খেতে হবে। তারপর এই তেঁতুলের রসে জিরা ভিজিয়ে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে খেলে পেটের পুরনো ও জমে থাকা শ্লেষ্মা দ্রুত দূর হবে এবং ভালো হয়ে যাবে। নতুন আমাশয়ের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
থানকুনি: আমাশয় হলে অনেক সময় ডায়রিয়া ও জ্বর দুটোই হয়। এই সমস্যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এই থানকুনি পাতার রস গরম করে ছেঁকে নিতে পারেন। এটা খুব দরকারী হবে.
বেটো বা বটুয়া শাক: রক্ত আমাশয়ে বেটো বা বটুয়া শাক খুবই উপকারী। ৩ থেকে ৪ চা চামচ বটুয়া পাতার রস গরম দুধে মিশিয়ে খেলে অর্শের রক্তপাত বন্ধ হবে। আর শুধুমাত্র আমাশয় হলে বিটরুটের গুঁড়ো সামান্য দই মিশিয়ে খেতে পারেন, আমাশয় দ্রুত সেরে যাবে।
হলুদ: আমাশয় বা পেটের যেকোনো সমস্যায় হলুদ খেতে পারেন। 300-400 গ্রাম হলুদ খেলে আমাশয় দ্রুত সেরে যায়।
অর্জুন: রক্ত আমাশয় হলে অর্জুনের ছাল ৪ থেকে ৫ গ্রাম ছাগলের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্ত আমাশয় দূর হয়।
অমরা: রক্ত আমাশয় হলে বা মলে রক্ত পড়লে, এ ক্ষেত্রে আমড়ার আঠা ৩ থেকে ৪ গ্রাম আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে এক চা চামচ আমড়া গাছের ছালের রসের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেতে হবে, 2 দিনের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে এবং রক্তও বন্ধ হয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
মরিচ: আমাশয় সমস্যা হওয়ার পর এবং অনেক সময় আম বা মল বেশি পাস হয় না। কিন্তু টয়লেটে যেতে খুব কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে এক বা দেড় গ্রাম লাল মরিচ গুঁড়ো করে সকাল ও বিকেলে দুবার পানির সাথে খেতে হবে। এভাবে খেলে ২-৩ দিনের মধ্যে জমে থাকা আম বেরিয়ে আসবে।
আরোপড়ুন :- সাদা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম
পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম
পুরাতন আমাশয় (ডিসেন্ট্রি) রোগের চিকিৎসার জন্য কিছু সাধারণ এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম নিচে দেওয়া হলো। তবে, মনে রাখতে হবে যে ঔষধ গ্রহণের পূর্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- মেট্রোনিডাজল (Metronidazole) – এটি ব্যাকটেরিয়া এবং প্রটোজোয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর।
- নরফ্লক্সাসিন (Norfloxacin) – এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা ডায়রিয়া এবং আমাশয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin) – এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা বিভিন্ন সংক্রমণ এবং আমাশয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
- টিনিডাজল (Tinidazole) – এটি প্রটোজোয়াল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও, রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করতে হবে যেন ডিহাইড্রেশন না হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সঠিকভাবে গ্রহণ করুন।
আমাশয়ের জন্য আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার
আমাশয়ের জন্য আপনি আমাশয়ের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ বেছে নিতে পারেন যা বাড়িতে তৈরি করা যেতে পারে। আমাশয়ের জন্য আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন তা হল-
গুঁড়ো শুকনো আদা মূল, আমলা গুঁড়া, লং ও কালো গোলমরিচ সমান অনুপাতে মিশিয়ে নিন। আপনি এই শুকনো মিশ্রণটি একটি কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন যা পরবর্তীতে একটি আমাশয় রোগীকে দেওয়া যেতে পারে। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য, আমাশয় রোগীকে এক চা চামচ এই মিশ্রণটি হালকা গরম জলের সাথে দিনে দুবার দিন।
আমাশয় রোগের আরেকটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার হল বাটার মিল্ক পান করা যাকে বাংলাদেশে ঘোল বলা হয়। ভাজা জিরার সাথে সামান্য লবণ যোগ করুন। এই মিশ্রণটি দিনে দুবার নাস্তা ও দুপুরের খাবারের সাথে পান করুন।
আমাশয় রোগের হোমিও ঔষধের নাম
আমাশয়ের ওষুধকে বাংলাদেশ বা হোমিও ওষুধ বলা যেতে পারে। আমাশয় হোমোমেডিসিন দারা চিকিত্সার মধ্যে একটি ব্যাপক চিকিত্সা পরিকল্পনা রয়েছে যা সংক্রমণের দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র উভয় ক্ষেত্রেই আমাশয়ের চিকিত্সার জন্য কাজ করে। আমাশয়ের জন্য এই ওষুধগুলি সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট লক্ষণ অনুসারে কাজ করে।
পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া নিয়ম
পুরাতন আমাশয় (ডিসেন্ট্রি) রোগের চিকিৎসায় এলোপ্যাথিক ঔষধ সঠিকভাবে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ব্যবহৃত কিছু ঔষধ এবং তাদের গ্রহণের নিয়ম নিচে দেওয়া হলো। তবে মনে রাখতে হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole)
- ডোজ: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ৩ বার ৪০০-৫০০ মিলিগ্রাম করে ৫-৭ দিন খেতে হয়।
- নিয়ম: খাবারের পর ঔষধ খেতে হবে।
নরফ্লক্সাসিন (Norfloxacin)
- ডোজ: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ২ বার ৪০০ মিলিগ্রাম করে ৫ দিন খেতে হয়।
- নিয়ম: খালি পেটে অথবা খাবারের এক ঘণ্টা আগে অথবা দু’ঘণ্টা পরে খেতে হবে।
সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
- ডোজ: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ২ বার ৫০০ মিলিগ্রাম করে ৫-৭ দিন খেতে হয়।
- নিয়ম: খালি পেটে অথবা খাবারের এক ঘণ্টা আগে অথবা দু’ঘণ্টা পরে খেতে হবে।
টিনিডাজল (Tinidazole)
- ডোজ: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে একবার ২ গ্রাম ডোজ বা ৫০০ মিলিগ্রাম করে ৩-৫ দিন খেতে হয়।
- নিয়ম: খাবারের সাথে খেতে হবে।
সাধারণ নির্দেশাবলী
- পূর্ণ ডোজ সম্পূর্ণ করা: ঔষধ গ্রহণের সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে, এমনকি উপসর্গগুলি দূর হয়ে গেলে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ: ঔষধ গ্রহণের পূর্বে এবং ঔষধ গ্রহণের সময়কালে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: ঔষধ গ্রহণের সময় কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
- পর্যাপ্ত জল পান করা: রোগীর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করা উচিত ডিহাইড্রেশন এড়ানোর জন্য।
এই তথ্যগুলি সাধারণ নির্দেশনার জন্য দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে চিকিৎসক ভিন্ন ঔষধ বা ডোজ নির্ধারণ করতে পারেন।
আরোপড়ুন :- কিটোটিফেন সিরাপ এর কাজ কি । কিটোটিফেন সিরাপ কিসের ঔষধ
পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ এর দাম কত
পুরাতন আমাশয় (ডিসেন্ট্রি) রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের দাম নির্ভর করে দেশ, ব্র্যান্ড, এবং ফার্মেসি অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। নিচে বাংলাদেশে সাধারণত ব্যবহৃত কিছু ঔষধের আনুমানিক দাম দেওয়া হলো:
- মেট্রোনিডাজল (Metronidazole)
- ফ্ল্যাজিল (Flagyl): প্রতি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ২-৩ টাকা।
- নরফ্লক্সাসিন (Norfloxacin)
- নোরসিন (Norsin): প্রতি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ৮-১০ টাকা।
- সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
- সিপ্রো (Cipro): প্রতি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ১০-১৫ টাকা।
- টিনিডাজল (Tinidazole)
- টিনিবি (Tiniba): প্রতি ট্যাবলেটের দাম প্রায় ১২-১৫ টাকা।
এই দামগুলি সাধারণত বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তবে, সঠিক দাম জানতে স্থানীয় ফার্মেসিতে যোগাযোগ করা উচিত, কারণ দাম সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে এবং বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিভিন্ন হতে পারে।
ট্যাবলেট আমাশয় রোগের ঔষধের নাম বাংলাদেশ
বাংলাদেশে আমাশয় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ট্যাবলেটের নাম নিচে দেওয়া হলো। এই ঔষধগুলি সাধারণত ব্যবহৃত হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত:
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole)
- Flagyl (ফ্ল্যাজিল)
- Metrogyl (মেট্রোজিল)
নরফ্লক্সাসিন (Norfloxacin)
- Norflox (নরফ্লক্স)
- Norfloxacin (নরফ্লক্সাসিন)
সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
- Ciprocin (সিপ্রোসিন)
- Ciprobac (সিপ্রোব্যাক)
টিনিডাজল (Tinidazole)
- Fasigyn (ফাসিজিন)
- Tiniba (টিনিবা)
এই ঔষধগুলি বাংলাদেশে সাধারণত পাওয়া যায়। তবে, সঠিক ঔষধ এবং ডোজ নির্ধারণের জন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ অতিরিক্ত খেলে কি হয়
পুরাতন আমাশয় (ডিসেন্ট্রি) রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ অতিরিক্ত খেলে বিভিন্ন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ ঔষধের অতিরিক্ত গ্রহণের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো:
মেট্রোনিডাজল (Metronidazole)
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: বমি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, খিঁচুনি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন।
- অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা: নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যেমন খিঁচুনি, সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি।
নরফ্লক্সাসিন (Norfloxacin)
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, র্যাশ।
- অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা: কিডনি সমস্যা, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যেমন খিঁচুনি।
সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, অস্থিরতা, পেশী ব্যথা, ফুসকুড়ি।
- অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা: কিডনি সমস্যা, লিভার সমস্যা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা।
টিনিডাজল (Tinidazole)
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি, ধাতব স্বাদ, অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন।
- অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা: নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, লিভার সমস্যা।
সাধারণ নির্দেশনা
- চিকিৎসকের পরামর্শ: ঔষধের ডোজ এবং সময়কাল সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা: কোন অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
- দ্রুত চিকিৎসা: অতিরিক্ত ঔষধ গ্রহণের ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
অতিরিক্ত ঔষধ গ্রহণের ঝুঁকি সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকা উচিত এবং নির্ধারিত ডোজ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া নিয়ম, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ এর দাম কত, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ অতিরিক্ত খেলে কি হয় এবং পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবনে কিছু সর্তকতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হয়নি এবং আপনারা উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।
আরোপড়ুন :- সাদা আমাশয় রোগের ঔষধের নাম
Tag: পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া নিয়ম, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ এর দাম কত, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ অতিরিক্ত খেলে কি হয়, পুরাতন আমাশয় রোগের এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবনে কিছু সর্তকতা, purton amasay roger alopatik oushuder name, biborun.com