কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম

ইসবগুলের ভুষি হল সাইলিয়াম (Plantago ovata) বীজের ভুসি থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার। রেচক বা রেচক হিসাবে পরিচিত। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে এই গাছের ভুসি আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, হার্ট এবং অগ্ন্যাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি উপকারিতা রয়েছে। ইসবগুলের ভুষি অভ্যন্তরীণ পরিপাকতন্ত্রের  সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী। আসুন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি, ইসবগুলের ভুষি কতদিন খাওয়া যায়, ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা ইত্যাদি সকল বিষয় জেনে নেওয়া যাক । তাহলে চলুন শুরু করি:-

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি, ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা,ইসবগুলের ভুষির অপকারিতা, ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার কতক্ষণ আগে ভেজাবেন, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়? খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হবে?kosto kathinno isobguler vushi khaoyar niyom, biborun.com,

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা

ইসুবগুলের ভুষির উপকারিতা অনেক। সাধারণত, অনেক লোক মলত্যাগের উন্নতির জন্য এগুলির ভুসি খেয়ে থাকে, তবে এগুলি কেবল মলত্যাগই করে না তবে গ্যাস্ট্রিক সমস্যাও সমাধান করতে পারে। এই গাছের ভুসি খেলে আপনার মল নরম হবে এবং মলের পরিমাণ বাড়বে, ফলে পেটে কোনো সমস্যা হবে না। তবে নিয়ম না মেনে বেশি করে খাওয়া যাবে না।

পেটের ব্যথায় ভুসির কোনো পার্থক্য নেই। ইসবগুলের ভুসি ডায়াবেটিস নিরাময়েও কার্যকর, তাই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা ইসবগুলের ভুসি সকালে ও রাতে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে ইসবগুলের ভুসি খেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে।

এছাড়াও, এই গাছের ভুসি খেলে পাইলসের মতো গুরুতর রোগ নিরাময় করা যায়। যাদের ডায়রিয়ার সমস্যা আছে তারা ইসবগুলের ভুসি দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, দ্রুত কাজ করবে। এছাড়া যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের এই খোসার জমিও হতে পারে। তাদের একমাত্র সমাধান। যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা যেতে পারেন পেটের সমস্যা ভালো না হওয়া পর্যন্ত।

যাইহোক, যদি এটি ভাল হয়ে যায় তবে এটি অবশ্যই এড়ানো উচিত। বেশি না খাওয়াই ভালো। মাঝে মাঝে খেতে পারেন তবে দিনে একবার। আর খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যারা শরীরের মেদ কমাতে চান তাদের জন্য এই ভুসিগুলো ব্যতিক্রমী হতে পারে না।

আরো পড়ুন :-  ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা   খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম  দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়  মুখেরলোমদূরকরারঘরোয়াপদ্ধতি  

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি

কোষ্ঠকাঠিন্য বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এই ইসবগুলের ভুষি খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া খাবারটির রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ক্লিনিকাল ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী একটি ভিডিওতে এই সবজির গুণাগুণ এবং খাওয়ার নিয়ম দেখিয়েছেন, যা বাংলাদেশের অনেকেরই জানা। তার মৌখিক পরামর্শ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

আপনি এই ইসবগুলের ভুষি যে রূপেই গ্রহণ করুন না কেন, এর রেচক বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি অন্ত্র থেকে অন্ত্রের চলাচলকে মসৃণ করার জন্য জলের সাথে তৈরি হয়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে প্রতিরোধ করে। এটি প্রতিরোধ করা গেলে যাঁদের পাইলস বা অ্যানাল ফিসারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। তাই যারা শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার খাদ্য উপাদান।

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত ইসবগুলের ভুষি চালের মতো সব কিছুর সঙ্গে মেশানো যায় না। ইসবগুল ভুমি সাধারণত গরম পানিতে মেশানো হয় এবং আপনি চাইলে এক গ্লাস গরম দুধের সাথেও মিশিয়ে নিতে পারেন।

দুই চামচ ইসবগুলের ভুসি এক গ্লাস পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। মিষ্টি স্বাদ আনতে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন, বেশি উপকার হবে। এই ভুসিগুলির সেরা ফলাফল পেতে, আপনাকে অবশ্যই খালি পেটে খেতে হবে। ফলাফল খুবই ভালো। এগুলো খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

যারা পেট ফাঁপায় ভুগছেন তারাও খালি পেটে খেতে পারেন। এগুলোর ভুসি 30 মিনিটের জন্য ডিজে রাখতে হবে। তারপর একটু ফুলে উঠবে তারপর খেতে পারেন। এই ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে যেমন সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে। তবে গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা গ্রহণ করতে হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি, ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা,ইসবগুলের ভুষির অপকারিতা, ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার কতক্ষণ আগে ভেজাবেন, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়? খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হবে?kosto kathinno isobguler vushi khaoyar niyom, biborun.com,

কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসনে ইসবগুলের ভুষি বেশ কার্যকর। এটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যা অনুসরণ করলে আপনি সর্বোচ্চ উপকার পেতে পারেন:

  1. সময়: ইসবগুলের ভুষি সাধারণত রাতে খাবার পর বা সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।
  2. মাত্রা: প্রতিবার ১-২ টেবিল চামচ ইসবগুলের ভুষি নেয়া যায়।
  3. পানির পরিমাণ: ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সময় প্রচুর পানি পান করা খুবই জরুরি। প্রতিবার ১-২ গ্লাস পানি সাথে খেতে হবে।
  4. মিশ্রণ পদ্ধতি:
    • ১-২ টেবিল চামচ ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে।
    • ভালভাবে মিশিয়ে তা দ্রুত খেয়ে ফেলতে হবে, কারণ ইসবগুল পানির সংস্পর্শে এসে জেলির মতো হয়ে যায়।
  5. নিয়মিততা: নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  6. অন্য খাবারের সাথে: আপনি দই, ফলের রস, বা অন্য তরল খাবারের সাথে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে পারেন।
  7. অতিরিক্ত মাত্রা পরিহার: খুব বেশি পরিমাণে ইসবগুলের ভুষি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি অন্ত্রের বাঁধন সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়া, ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সর্বদা ভাল।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে তারা ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে সাহায্য করে। কারণ এটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থাৎ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যে কারণে আমরা ডায়াবেটিক রোগীদের প্রায়ই জিজ্ঞেস করি কিভাবে মাঝে মাঝে একটু ফলের রস খেতে পারি? তখন আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে, আপনি যদি কোন ফলের রস পছন্দ করেন তবে অবশ্যই তার সাথে এক চামচ ইসবগুল মিশিয়ে নিন। কারণ সেই ফলের রসের গ্লাইসেমিক সূচকের উন্নতি করা সম্ভব, তবে এটি অবশ্যই প্রতিবার অনুশীলনের জন্য নয়।

FAQ:

  • খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হবে ?
  • ইসুবগুলের ভুসি খাওয়ার একটি সাধারণ উপায় হল এটি খালি পেটে খাওয়া এবং সকালে খাওয়া, অর্থাৎ ঘুম থেকে ওঠার পর ভিজিয়ে রেখে খাওয়া। আমরা জানি যে খালি পেটে পানি পান করলে গ্যাসের সমস্যা যেমন দূর হয়, তেমনি খালি পেটে এই গাছের ভুসি খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেট ফাঁপা, ডায়াবেটিস এবং পাইলসের মতো মারাত্মক রোগ সেরে যায়।
  • ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয় ?
  • এখন আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানব। হ্যাঁ, ইসুবগুলের ভুসি খেলে বীর্য গাঢ়  হয়ে যায়। এক গ্লাস গরম দুধে দুই থেকে তিন চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খান। এর সঙ্গে যেতে পারেন বিভিন্ন ইউনানি হারবাল হালুয়া।

আরো পড়ুন :-  ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় । ঠোঁটের কোণে ঘা হয় কোন ভিটামিনের অভাবে । জিরা ভেজানো জলের উপকারিতা  । ডাবের পানির উপকারিতা । প্যারাসুট নারকেল তেলের উপকারিতা

শেষ কথা

প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আর্টিকেলে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি, ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা,ইসবগুলের ভুষির অপকারিতা, ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার কতক্ষণ আগে ভেজাবেন, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয় ইত্যাদি ইসবগুলের ভুষি  সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।

Tag: কোষ্ঠকাঠিন্য ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার নিয়ম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুষি, ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা,ইসবগুলের ভুষির অপকারিতা, ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার কতক্ষণ আগে ভেজাবেন, ইসবগুলের ভুসি খেলে কি বীর্য গাঢ় হয়? খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কী হবে?kosto kathinno isobguler vushi khaoyar niyom, biborun.com,

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top