ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ গত কয়েক বছরে ল্যাপটপের বিশেষ নকশা ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরণের ল্যাপটপ সেল হচ্ছে। যেগুলো একটি আরেকটি থেকে দামে এবং কনফিগারেশনে সম্পুর্ণ আলাদা আলাদা।
এখন সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ বেছে নেওয়াটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার সিদ্ধান্ত বিপদে যাবেনা। সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতে পারে।
ল্যাপটপ কেনার আগে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে :-
টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ
আপনি যদি ডিভাইস স্কিন স্পর্শ করে চালাতে পছন্দ করেন, তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনার জন্য ভালো হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, Windows 8 ইন্টারফেসের টাইল ও জেশ্চার আপনার টাচস্ক্রিন (touchscreen) অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে এবং তা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ভিত্তিক ল্যাপটপে ওয়েব পেজ ব্যবহার করা সহজ। এছাড়াও, ছবি এবং নথি দেখতেও সুবিধাজনক। আপনি একটি কিবোর্ডের সাথে একটি টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ একটি ল্যাপটপ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে টাচস্ক্রিন সুবিধা সহ একটি ল্যাপটপ পাবেন ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। সাধারণত, সিনেমা দেখা, গান শোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করার মতো ছোট কাজের জন্য একটি সস্তা ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ট। এই ক্ষেত্রে, আপনি 15 ইঞ্চি স্ক্রিন মনিটর সহ একটি ল্যাপটপ কিনতে পারেন। (ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ)
ল্যাপটপের ওজন ও নকশা
আপনি যদি অনেক ভ্রমণ করেন তাহলে পতলা ল্যাপটপ কিনতে পারেন. আপনার জন্য বেস্ট হবে আল্ট্রাবুক আপনার জন্য বেস্ট হবে। 12 থেকে 13 ইঞ্চির মধ্যে ল্যাপটপ কিনুন যেগুলো দীর্ঘদিন স্থায়িত্ব থাকবে।
বাড়ি বা অফিসের প্রচারের জন্য একটি 14″ Laptop কিনতে চান তবে, একটি 15.6 ” বা 15.6 ” ডিসপ্লের ল্যাপটপ কিনুন।
আপনি যদি একজন গেমার হন বা ফটো এবং ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য একটি ল্যাপটপ কিনতে চান. তবে আপনার শক্তিশালী প্রসেসর এর ল্যাপটপ লাগবে ৷ এর জন্য আপনি একটি 15.6 বা 17 ” ডিসপ্লের ল্যাপটপ নিতে পারেন।
আপনি যদি সব সময় একটি ল্যাপটপ নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাহলে একটি ধাতব নোটবুক laptop আপনার জন্য ভালো করবে।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
ল্যাপটপের তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা কেমন
ল্যাপটপে থাকাকালীন আপনি কতটা ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন তা মাথায় রাখুন।
আজকাল একটি 15.6-ইঞ্চি ল্যাপটপ ছাড়া, অন্যান্য হার্ডড্রাইভ কম ব্যবহৃত হয়। হার্ডড্রাইভের পরিবর্তে এখন ফ্ল্যাশ ভিত্তিক ফ্ল্যাশ লাইভ ড্রাইভ (SSD) ব্যবহৃত হয়। ফ্ল্যাশ স্টোরেজ (ssd) দামি হলেও এর নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। এর আকার ছোট এবং হার্ডড্রাইভের তুলনায় কঅনেক দ্রুত কাজ করে।
প্রাইসটা একটু বেশি হলেও দ্রুত সার্ভিস পাওয়ার জন্য ssd দিকে লক্ষ্য রাখতে পারেন।
অপারেটিং সিস্টেম
অনেকেই অল্প কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য প্রি-লোডেড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ কেনেন। আবার অনেকে প্রি-লোডেড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ কেনেন না।
কিন্তু নিজে থেকে SM এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা কঠিন ও সময় বেশি প্রয়োজন হয় । ল্যাপটপ কেনার সময় আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি ব্যবহার করতে পারেন ।
ল্যাপটপের RPM রেটিং
5200 rpm এবং 7200 rpm গতির হার্ডডিস্ক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ল্যাপটপে ভালো গতির জন্য 7200 rpm কেনা ভালো। আপনি যদি ল্যাপটপে হাই-এন্ড গেম খেলতে চান এবং উচ্চ-রেজোলিউশন ভিডিও সম্পাদনা করতে চান তবে ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স থেকে সাবধান থাকুন। কিন্তু সাধারণ খবরের জন্য ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্সই যথেষ্ট। (ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ)
ব্যাটারি ব্যাকআপ
দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো হওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রায় সব ল্যাপটপের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন হতে পারে। যত বেশি সেল (4-12) থাকবে, ব্যাটারি তত বেশি দিন চলবে।
আরো পড়ুন
ইংরেজি শিখব কিভাবে
ল্যাপটপের ফিচার
ভালো একটি ল্যাপটপে Intel বা AMD মাল্টিকোর SPU থাকলে ভালো। ৩-৪ টি USB পোর্ট এবং ল্যাপটপটি দ্রুতগতির কিনা তা দেখে নেওয়া অবশ্যই দরকার। সাধারণত উচ্চ রেজ্যুলেশনের গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স কাজের জন্য উচ্চ গতির (processor) প্রসেসর যুক্ত ল্যাপটপ কেনা জরুরি।
এ জন্য (processor) প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩.০ (GB)গিগাবাইটের বা এর বেশি হলে ভালো হয়। প্রসেসর কোন সিরিজের (core i3, core i5, core i7) তা জেনে নেওয়াও জরুরি।
কেনার আগে অবশ্যই গ্রাফিকস কাজের সক্ষমতা কেমন তা দেখে নেবেন। ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪ (GB) গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি র্যাম হলে ভালো হবে। (ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ)
ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ
পুরোনো বা নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় সতর্ক থাকবেন। ওয়ারেন্টি দেখে নিন। পরিচিত ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ কেনার আগে তাদের বিক্রয় সেবা ও অতীতে তাদের ল্যাপটপ বিক্রির রেকর্ড কেমন সে সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো হবে।
কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার, ব্যাগ ইত্যাদি যে সকল আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ল্যাপটপের সাথে পাচ্ছেন তা বুঝে নেবেন। এছাড়াও সব সময় পরিচিত কারো রেফারেন্সে অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক, বিশ্বস্ত মাধ্যম বা দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনতে পারেন। এতে করে বিভ্রান্তির পর আশঙ্কা কম থাকবে।
(ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ)
ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি বিষয়
(ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ)
{ ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি বিষয় }
tag:-
ল্যাপটপ কেনার আগে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি বিষয়
ল্যাপটপ কেনার আগে যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে
টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ
ল্যাপটপ কেনার আগে যে ৭ টি বিষয় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ
ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি বিষয়