দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি । দাঁতের মাড়ি ফোলা কমানোর ঔষধ

আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই দাঁতে ক্যাভিটি থাকে। যার কারণে মানুষ দাঁতের মাড়ি ব্যথায় ভোগে। বিভিন্ন সময়ে আমাদের দাঁতে ইনফেকশন হয় যার জন্য আমাদের দাঁত সংক্রমণের ওষুধ খেতে হয়। দাঁতের মাড়ি ফোলার বা ব্যথার কারণে অনেকেই প্রতিদিন দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি ও চিকিৎসার উপায় জানতে চান।

আজকের পোস্টে আমরা দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে কি ঔষধ খেতে হবে এবং দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়  কি কি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আজকের প্রতিবেদনটি আপনাদের উপকারে আসবে। তাহলে আর কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক।

দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে কি ঔষধ খেতে হবে, দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, dater mari fule gele koeorio kiki janun, biborun.comদাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয়, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে কি ঔষধ খেতে হবে, দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, dater mari fule gele koeorio kiki janun, biborun.com

দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি

মাড়ি ফুলে যাওয়া একটি খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কিছু ভালো লাগে না, কথা বলতে পারে না, খিটখিটে মেজাজ। গাল ফুলে যাওয়া ব্যথার কারণে মাড়ি ফুলে যায়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন।

দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

দাতের মাড়ি ফুলে গেলে ঘরোয়া উপায় এই মাড়ি ফুলা দূর করা যায়। নিচে দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় আলোচনা করা হলো

লবণ পানি:মাড়ি ফুলে যাওয়ার জন্য লবণ একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে। এটি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

  • নরম-ব্রিস্টেড টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লবণ ঘষে নিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এটি করুন।
  • হালকা গরম পানিতে আধা বা এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। মাড়ির ফোলাভাব কমাতে দিনে দুবার এই জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।

হলুদ পেস্ট

হলুদ মাড়ি ফুলে যাওয়ার জন্য একটি ভাল ঘরোয়া প্রতিকারও। এতে রয়েছে কারকিউমিন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা এবং ফোলা কমাতে কাজ করে।

  • এক-চতুর্থাংশ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো নিন। পাউডারে সামান্য হালকা গরম পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন।
  • এই পেস্টটি পরিষ্কার আঙ্গুল দিয়ে মাড়িতে লাগান। পাঁচ মিনিট পর আলতো করে এক মিনিট ম্যাসাজ করুন।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এক থেকে দুই সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন দুবার ব্যবহার করুন।

টিব্যাগ: টি ব্যাগে থাকা ট্যানিন জিঞ্জিভাইটিস কমানোর ক্ষমতা রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে। ফুটন্ত পানিতে একটি টিব্যাগ দুই থেকে তিন মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর বের করে ঠান্ডা করে নিন। 10 থেকে 15 মিনিটের জন্য মাড়ির কাছে ধরে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ঠান্ডা করে নিন।

তেলের ব্যবহার: মাড়ি ফোলা ও অন্যান্য মুখের সমস্যায় তেলের ব্যবহার খুবই কার্যকর। এটি একটি চেষ্টা এবং বিশ্বস্ত পদ্ধতি। এই ঐতিহ্যবাহী আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি মুখের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এটি ওরাল প্লাক দূর করতে এবং মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ তিলের তেল মুখে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অবশেষে, আপনার দাঁত ব্রাশ করুন।

চা গাছের তেল: অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাড়ির ফোলাভাব এবং অস্বস্তি দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে দিনে দুবার মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখবেন এই তেল যেন কোনোভাবেই পেটে না ঢুকে যায়। কারণ এতে পেটে নানা সমস্যা হতে পারে।

জোয়ান: এতে থাইমল রয়েছে যা চেতনানাশক বা উপশমকারী, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হতে পারে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। সুগন্ধ ছাড়তে জিরার বীজ হালকাভাবে পিষে নিন। তারপর পিষে নিন। এতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর মাড়িতে লাগান। দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: দাঁতের মাড়ি ফোলা একটি অত্যন্ত তীব্র এবং বেদনাদায়ক ব্যথা। দাঁতের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে উপরের কাজগুলো করবেন । দাঁতের মাড়ি ফোলার মাত্রা বেড়ে গেলে দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিব। উপরে দাঁতের ব্যথার জন্য কিছু ট্যাবলেট রয়েছে। ট্যাবলেট খাওয়ার আগে  আপনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

কীভাবে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়, দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম, দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়, দাঁতের ব্যথা কমানো দোয়া, dater betha konamor oushuder name, biborun.com

আরো পড়ুন : দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়   ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা  খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম  দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়  মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি  

দাঁতের মাড়ি ফোলা কমানোর ঔষধ

দাঁতের ব্যথার ওষুধ খাওয়ার আগে দাঁতের ব্যথার কারণ জেনে নেওয়া দরকার। নির্দিষ্ট কারণ জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

বাজারে অনেক ধরনের দাঁত ব্যথার ওষুধ রয়েছে। তবে প্যারাসিটামল হালকা দাঁতের ব্যথার জন্য খুব ভালো কাজ করে। আপনি যদি অত্যধিক ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনার অবিলম্বে চিকিত্সার পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু দাঁত ব্যথা ট্যাবলেটের নাম নীচে উল্লেখ করা হল:

  • ফ্যানামিক 250: অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অর্থাৎ 5 থেকে 18 বছর বয়সী, ব্যথা অব্যাহত থাকলে পাঁচ দিন পরপর তিন দিন ধরে দিনে দুই থেকে তিনবার নিন।
  • ফেনামিক 500: দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য এটি একটি খুব ভালো ট্যাবলেট। প্রাপ্তবয়স্কদের অর্থাৎ 18 বছর বয়সীদের দিনে দুই থেকে তিনবার একটি ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। ট্যাবলেটটি তিন দিনের জন্য গ্রহণ করা উচিত।

দাঁতের ব্যাথার ট্যাবলেট

দাঁত ব্যথার নিম্নে আরো কিছু ট্যাবলেট  এর নাম উল্লেখ করা হলো:

  • Tory 120mg
  • Amodis 400
  • Algirex 120mg
  • Ecox 120mg
  • Exilok 20
  • Torimon 90mg
  • Moxacil 500
  • Cox-E 120mg
  • Aroxia 12p mg

দাঁত ব্যথার আরো কিছু ঔষধ এন্টিবায়োটিক / ট্যাবলেট

দাঁতের ব্যথার জন্য আপনি Etoricoxib 90mg বা Etoricoxib 60mg বা Etoricoxib 120mg ট্যাবলেট নিতে পারেন যদি আপনার দাঁত ব্যথা থাকে তবে আপনি এই ওষুধটি তখনই নিতে পারেন। যদি এই ওষুধগুলো ভালো কাজ না করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এছাড়াও আরও অনেক ধরণের ব্যথানাশক রয়েছে যা দাঁতের ব্যথার জন্য নেওয়া যেতে পারে তবে এই ব্যথানাশকগুলি খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়

কিছু ভিটামিন সুস্থ দাঁত ও মাড়ির জন্য অপরিহার্য। ঠিক সেই ভিটামিনের মতো যখন আপনার দাঁত সেই ভিটামিন গুলো যখন নিয়মিত ভাবে পায়না, তাহলে আপনার দাঁতের সমস্যা, দাঁতের ক্ষয়, মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং দাঁতে ব্যথা শুরু হয়।

যে ভিটামিনের অভাবে মাড়ি ফুলে যায়

  • ভিটামিন: ভিটামিন এ মাড়ি সুস্থ ও সবল রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। লাল প্রবাল মুখের মধ্যে তরল মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এসব খাবার (গাজর, মিষ্টি আলু, সবুজ শাকসবজি, আম) ভিটামিন এ সমৃদ্ধ।
  • ভিটামিনবি: মুখ ও জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করে। (সবুজ সবজি, ফল, মটরশুটি, দই, মাংস) ভিটামিন বি সমৃদ্ধ।
  • ভিটামিনসি: ভিটামিন সি মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, ফুলে যাওয়া বন্ধ করে। (আমলকি, লেবু, কমলা, আমড়া, পেয়ারা, কামরাঙ্গা ইত্যাদি টক ফল) এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা দাঁতকে খুব মজবুত ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিনডি: সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে, যা শরীর ও দাঁতের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া মাছ, মাংস, দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।
  • ভিটামিনকে: শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ভিটামিন কে প্রয়োজন এবং ভিটামিন কে-এর অভাবে মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হয়। সবুজ শাকসবজি এবং সয়াবিনে ভিটামিন কে থাকে।
শেষ কথা:

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে কি ঔষধ খেতে হবে, দাঁতের মাড়ি ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি ইত্যাদি সকল বিষয় আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আশা করি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এবং আপনি নিবন্ধটি পছন্দ করেছেন। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।

আরো পড়ুন : দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়   ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা  খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম  দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়  মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি  

Tag: দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয় কি, দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে কি ঔষধ খেতে হবে, দাঁতের মাড়ি ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়, কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, dater mari fule gele koronio, biborun.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top