মনিপুরী শাড়ি চেনার উপায় কি তা জানতে পাঠকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। কারণ, শাড়ির জগতে এটি বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শাড়ি হলো নাম মনিপুরী শাড়ি। অনেকই মনিপুরী শাড়ি কেনার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে বা অনেক অসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে ক্রেতাদের মনিপুরী শাড়ি কেনার সময় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি টাকা গুনতে হয় এবং নকল মনিপুরী শাড়ি ক্রয় করেন। আপনার যদি কিভাবে মনিপুরী শাড়ি চেনা যায় তা আগে থেকে জানা থাকলে, আর মনিপুরী শাড়ির আসল-নকল নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হবে না।
এই সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে আজকের আর্টিকেলে আমরা মনিপুরী শাড়ি চেনার উপায়, মনিপুরী শাড়ির দাম কত, মনিপুরী শাড়ির যত্ন নেওয়ার নিয়ম এবং মনিপুরী শাড়ি অনলাইনে কিভাবে কিনবেন ইত্যাদি মনিপুরী শাড়ি সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পরলে জাপানি টরে কাপড়ের সকল ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে প্রতিবেদনটি শুরু করি:
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
মণিপুরী জাতি ভারত ও বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র ও স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠীর নাম। তাদের জন্মস্থান ভারতের মণিপুর রাজ্য। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত কারণে মণিপুর রাজ্যের অধিবাসীরা ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলে যায়। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের সিলেট জেলায় বসবাস করে। মণিপুরীদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা, সাহিত্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে। তাঁতশিল্পে তাদের বেশ সুনাম রয়েছে। এই মণিপুরি শাড়ি এখন জনপ্রিয় এবং তাদের হাতে বোনা।
মণিপুরি শাড়ি সাধারণত 14 হাতের, একটি চলমান ব্লাউজ পিস সহ। কিন্তু অনেক সময় ব্লাউজ পিস কাটলে দেখা যায় শাড়ির আচল কম পরে। যারা একটু লম্বা আচল এবং বেশি স্কার্টের সাথে শাড়ি পরতে চান তাদের আলাদা কাপর দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করাই ভালো।
মনিপুরী শাড়ি চেনার উপায় কি?
মনিপুরী শাড়ির বিষয়ে এখন ও অনেকের মনেই সন্দেহ কাজ করে যে কোনটা আসল আর কোনটা নকল। মনিপুরের শাড়ি নকল ভাবার কারণ হল, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সাময়িক লাভের আশায় গ্রাহকদের কাছে মিথ্যা বলে মনিপুরের শাড়ির আসল নকল বিভেদ ঘটায়। মনিপুরী শাড়ি কেনার আগে অবশ্যই নিজের বৈশিষ্ট্য গুলি লক্ষ্য রাখবেন:
- শাড়ির রং গাঢ় হোক বা হালকা, পাড়ের রঙ হবে গাঢ়। পাড়ের নকশা হবে ত্রিভুজাকার এবং শাড়ির ভেতরের লতা পাতা থাকবে হালকা সুতায় বোনা। সমস্ত হাতে বোনা মণিপুরি শাড়ি যুগযুগ ধরে আপনার আলামারিতে থাকবে, নষ্ট হবে না। আপনি পরবেন, আপনার মেয়ে পরবে, ইনশাআল্লাহ্ আপনার নাতনীরাও পরতে পারবে।
- মণিপুরি শাড়ি চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এর ডিজাইন। এই শাড়ির ডিজাইনে অন্য সব শাড়ি থেকে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
- মণিপুরি শাড়ি বুনন কৌশলের কারণে, এই শাড়ির উভয় দিক একই রকম দেখায়। এই ছোট্ট বিষয়টা খেয়াল করলেই সহজেই চেনা যাবে মণিপুরি শাড়ি।
- মনিপুরী শাড়ি কেনার পর যদি শাড়ী টা ধরে মনে হয় শাড়ি এরকম জাল জাল কেন তবে ভয় পাবেন না।এটাই কিন্তু মনিপুরী শাড়ীর বৈশিষ্ট্য।
- অনেক সময় শাড়িতে স্টার্চের দাগ হতে পারে.. তবে শাড়িতে এটাকে সমস্যা মনে করবেন না। কারণ মণিপুরি শাড়ি তৈরির পর স্টার্চ করা হয়।
- আসল মণিপুরি শাড়ি কখনো বিবর্ণ হয় না!! প্রথম ধোয়াতে একটু রঙ লাগতে পারে কিন্তু সাধারণত বিবর্ণ হয় না.. এমনকি 10 বছরের পুরানো মণিপুরি শাড়ি সবসময় নতুনের মতো দেখাবে! আপনি চাইলে শাড়িতে মাড় লাগাতে পারেন।
মণিপুরি শাড়ির কাজের নকশা কখনই একে অপরের সাথে মিলে না কারণ শাড়িগুলি তাঁতিরা তাদের মনের মতো করে তৈরি করে, তাদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, তাদের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা কারুকাজের সাথে জড়িত। এই শাড়ির।
মনিপুরী শাড়ির দাম কত
আসল মনিপুরী শাড়ির দাম একটু বেশি! তবে শাড়ির কাজের ওপর নির্ভর করে শাড়ির দাম বাড়তে পারে। একই রঙের মণিপুরি শাড়ি দেখলে অনেকেই মনে করেন দাম ও সীম হতে পারে। কিন্তু না, কাজের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়। পাড়ের রঙ শাড়ির টেক্সচারের চেয়ে গাঢ়, তাই দূর থেকেই নজর কাড়ে। শাড়ির মন্দিরের সীমানা তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আবার শাড়ির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শাড়ি সম্পূর্ণ হাতে বোনা। হাতে বুননের কারণে শাড়ির পেছনের অংশে কোনো পার্থক্য নেই, উভয় দিকই সমানভাবে ব্যবহার করা যায়। মনিপুরী শাড়ি দাম শাড়ির কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। মনিপুরী শাড়ির দাম ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০+ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
মনিপুরী শাড়ির যত্ন নেওয়ার নিয়ম
মনিপুরী শাড়ির যত্ন নেওয়ার কিছু নিয়ম আছে, যা মেনে চললে প্রতিটি শাড়িই যুগ যুগ ধরে চলে। উদাহরণস্বরূপ, সাবান এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে শাড়ি ভিজানো যাবে না। শ্যাম্পু বা হালকা ডিটারজেন্ট বা ড্রাই ওয়াশ ব্যবহার করা ভাল। শাড়ি ধোয়ার সময় অতিরিক্ত ব্রাশ করা বা স্ক্রাব করা উচিত নয়। ধোয়ার পর মাড় দিয়ে সোজা করে কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ইস্ত্রি করে আলমারিতে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরো পড়ুন :- ডিসেন্ট লুঙ্গি প্রাইস ইন বাংলাদেশ । নিট ফেব্রিক চেনার উপায় । নিট ফেব্রিক কি । ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি । ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি । আমানত শাহ লুঙ্গির দাম। প্রেসিডেন্ট টরে কাপড় চেনার উপায়
মনিপুরী শাড়ি অনলাইনে কিভাবে কিনবেন
হোম ডেলিভারি সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেলিভারি করে এমন অসংখ্য মাধ্যম রয়েছে। তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্য খুব সহজে বাসায় পেয়ে যাবেন। যদি আপনার অবস্থান ঢাকার মধ্যে থাকে তবে অর্ডার করার 24 থেকে 48 ঘন্টার মধ্যে আপনি হোম ডেলিভারি পাবেন।
আপনার অবস্থান ঢাকার বাইরে হলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে পণ্য পেয়ে যাবেন। আমরা ঢাকার অভ্যন্তরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় থানায় পৌঁছে দিই।
আপনি যদি ঢাকার মধ্যে থেকে স্ট্যান্ডার্ড মনিপুরী শাড়ি কিনে থাকেন তাহলে আপনাকে কোনো ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না কিন্তু আপনার অবস্থান ঢাকার বাইরে হলে আপনাকে ডেলিভারি খরচ দিতে হবে।
ঢাকার মধ্যে আমাদের ডেলিভারি খরচ মাত্র 50 টাকা, ঢাকার বাইরে আমাদের ডেলিভারি খরচ 100 টাকা, তাই ঢাকার মধ্যে থেকে কিনতে চাইলে অর্ডার করুন। ঢাকার বাইরে থেকে কিনতে চাইলে ডেলিভারি খরচ আগেই পরিশোধ করতে হবে।
নিরাপদে এবং নিরাপদে কেনাকাটা করতে, পণ্য সংগ্রহ দেখতে এবং অর্ডার দিতে https://ekshop.gov.bd/products/details/ ওয়েবসাইট দেখুন।
অনলাইনে পণ্য কেনার সময় সতর্কতা
আপনার নিজের এলাকায় সমস্ত লেনদেন করুন। সরাসরি বিক্রেতার সাথে দেখা করুন, পণ্যটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করুন এবং সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হলে মূল্য পরিশোধ করুন। একই সময়ে পণ্য এবং অর্থ উভয়ই বাণিজ্য করুন।
ক্রেতাদের জন্য নির্দেশাবলী:
পণ্য গ্রহণের আগে কোনো আর্থিক লেনদেন করবেন না। আপনি যদি তা করেন, আপনার নিজের সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করুন এবং বিক্রেতার সাথে কথা বলুন।
আপনার আর্থিক তথ্য প্রকাশ করা এড়িয়ে চলুন.
বিক্রেতাদের জন্য নির্দেশিকা:
পেমেন্ট পাওয়ার আগে কোনো পণ্য পাঠাবেন না। আপনার নিজের সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করে ক্রেতার সাথে কথা বলুন।
* ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সমস্ত লেনদেন ক্রেতা এবং বিক্রেতা তাদের নিজস্ব দায়িত্বে করবে। biborun.com লেনদেনের বিষয়ে কোনো দায়িত্ব নিতে বাধ্য নয়।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
আমরা মনিপুরী শাড়ি কেনার সময় সচরাচর সকল প্রশ্ন করে থাকি সে সকল প্রশ্ন-উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
- আসল মনিপুরী কিভাবে তৈরি হয়?
- উত্তর: একটি মণিপুরি শাড়ি যা তাঁতিদের দ্বারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে হাতে বোনা হয় তা একটি আসল মণিপুরী শাড়ি।
- আসল মনিপুরী চিনবো কেমন করে?
- উত্তরঃ হাতে জালের মত মনে হবে। ভালো মণিপুরি বুনন বেশি হয়। তাই নকল ভাব কম। এই শাড়ি ধরে রাখতে নরম।
- মনিপুরী শাড়ি কত হাত হয়?
- উত্তর: 14 হাত। একটা রানিং ব্লাউজ পিস আছে। তবে ব্লাউজ পিস কাটলে কোমর কমে যায়। মণিপুরি শাড়ি বেশি চটকদার।
- মনিপুরী শাড়ির দাম বিভিন্ন হয় কেন?
- উত্তর: মণিপুরি শাড়ির দাম কম বেশি হয় কম বুনন এবং ভিতরে কম-বেশি সুতার ডিজাইনের কারণে।
- মেশিনের মনিপুরীগুলি কি আসল মনিপুরী?
- উত্তর: মোটেই না। মণিপুরী বলতে হাতে বোনা মণিপুরী বোঝায়। তারা প্রকৃত মণিপুরী।
- মনিপুরী শাড়িতে রং উঠে?
- উত্তর: না। আসল মণিপুরী রঙ দেখায় না। প্রথম ধোয়া কিছু লিন্ট ছেড়ে যাবে. তবে ভয়ের কিছু নেই। রং উঠবে না।
শেষ কথা
প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আর্টিকেলে আমরা মনিপুরী শাড়ি চেনার উপায়, মনিপুরী শাড়ির দাম কত, মনিপুরী শাড়ির যত্ন নেওয়ার নিয়ম এবং মনিপুরী শাড়ি অনলাইনে কিভাবে কিনবেন ইত্যাদি মনিপুরী শাড়ি সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।
আরো পড়ুন :- ডিসেন্ট লুঙ্গি প্রাইস ইন বাংলাদেশ । নিট ফেব্রিক চেনার উপায় । নিট ফেব্রিক কি । ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি । ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি । আমানত শাহ লুঙ্গির দাম। প্রেসিডেন্ট টরে কাপড় চেনার উপায়
tag: মনিপুরী শাড়ি চেনার উপায়, মনিপুরী শাড়ির দাম কত, মনিপুরী শাড়ির যত্ন নেওয়ার নিয়ম, মনিপুরী শাড়ি অনলাইনে কিভাবে কিনবেন, monipuri shari chenar upay, biborun.com