নিট ফেব্রিক চেনার উপায় । নিট ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি

নিট ফেব্রিক চেনার উপায়: আমাদের পোশাকগুলি বেশিরভাগ নিট কাপড় বা ওভেন ফেব্রিক কাপড় থেকে তৈরি হয়। যে পোশাকগুলি নিট কাপড় থেকে তৈরি হয় সেগুলি নিট পোশাক হিসাবে পরিচিত এবং পোশাকগুলি ওভেন ফেব্রিক কাপড় থেকে তৈরি ওভেন ফেব্রিক পোশাক হিসাবে পরিচিত। নিটস পোশাকগুলির উদাহরণ যেমন টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ব্রিফস, প্যান্টি, ব্রা, সোয়েটার এবং হুডি। ওভেন পোশাকের উদাহরণ ফর্মাল শার্ট, ডেনিম জিন্স, স্যুট, ট্রাউজার্স, শিফন এবং জর্জেট পোশাক।

পোশাক কেনার আগে বা ব্যবহার করার আগে, পোশাক চেনাটা খুবই জরুরী। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ওভেন ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কত প্রকার, নিট ফেব্রিক চেনার উপায় ও  নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে আর কথা না বলে চলুন আর্টিকেলটি শুরু করা যাক:

ওভেন ফেব্রিক কি, ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার, নিট ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কত প্রকার,  নিট ফেব্রিক চেনার উপায়, ওভেন ফেব্রিক চেনার উপায় কি, ও  নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য, nid febric cenar pay, biborun.com

এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট

ওভেন ফেব্রিক কি

ওভেন ফেব্রিক হল ওভেন দ্বারা গঠিত যে কোন টেক্সটাইল। ওভেন ফেব্রিক প্রাইস সহ একটি তাতে তৈরি করা হয় এবং একটি স্ট্যাপ এবং ওয়েফটে বোনা অনেকগুলি থ্রেড দিয়ে তৈরি করা হয়।

ফেবরিক কি কত প্রকার ও কি কি

প্রযুক্তিগতভাবে একটি ওভেন ফেব্রিক হল দুটি বা ততোধিক থ্রেডকে একে অপরের সাথে ডান কোণে সংযুক্ত করে তৈরি করা কাপড় বা ফেব্রিক বুনা কাপড় বা ওভেন ফেব্রিক সাধারণত টেকসই হয়। ওভেন কাপড়গুলি বিশালতাপগুলিতে উৎপাদিত হয় যা অনুভূমিক ভাবে এবং উলম্বভাবে থ্রেটকে পৃথক করে বিভিন্ন সুতা একসাথে বুনন করে।

সাধারণত নন ওভেন কাপড়ের চেয়ে ওভেন ফেব্রিক গঠনগত দিক দিয়ে ভালো এবং শক্তিশালী হয়ে থাকে এজন্যই ওভেন ফেব্রিক এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয় যেমন কটন দিয়ে শার্টের কাপড় সিল্ক দিয়ে যেকোনো পোশাক এবং উল দিয়ে সোয়েটার বানিয়ে আমরা গায়ে দেই।এটি ওভেন ফেব্রিক।

ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার

দুটি ব্রড ক্যাটাগরিতে ওভেন ফেব্রিক ভাগ করা যায়। যেমন;

১.Basic or simple weave

২.Compound weave

Basic weave (বেসিক ওয়েভ)

বেসিক ওয়েভকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যথা;

১. Plain weave

২.Twil weave

৩.Satin weave

১.Plain weave (প্লেইন ওয়েভ)

এই ধরনের ওভেন ফেব্রিক সাধারণ একটি পর একটি wrap এবং প্রকৃতির এবং weft ইয়ার্নের পরস্পর সংমিশ্রণে তৈরি হয় যে কোন ফাইবার থেকে প্রস্তুত ইয়ার্ন দিয়ে এই প্রকারের ওভেন ফেব্রিক তৈরি করা যায় বেশিরভাগ ওভেন কাপড় এই প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়।

প্লেইন ওয়েভের পদ্ধতি 2 ends × 2 picks অনুযায়ী পুনরাবৃত্তি হয়। দুই harness বিশিষ্ট লুম দিয়ে এই কাপড় তৈরি করা যায়। (নিট ফেব্রিক চেনার উপায়)

২.Twill weave(টুইল ওয়েভ)

এই টাইপের কাপড় তির্যক লাইন বরাবর ১৫ থেকে ৭৫ ডিগ্রি কোন অনুযায়ী চলে কোন কোন টুয়েল ওয়েভ কাপড়ের পেছনের দিকে তাকালে এই তির্যক রেখা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।

টুইল ওয়েভ ওপরে এবং নিচে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যেমন ২/১ টুইল এর অর্থ হলো দুটি উপরে এবং একটি নিচে প্রায় সাত ধরনের টুইল ওয়েব রয়েছে যেমন ১/২ টুইল ২/২ টুইল ২/৩ টুইল ৩/৩ টুইল।

৩.satin weave (সাটিন ওয়েভ)

ইহা এক ধরনের বেসিক ওয়েভ যারা যেখানে চার বা ততোধিক ওয়েফ্ট ইয়ার্ন‌ থাকে যা wrap ইয়ার্নের ভেতর দিয়ে ভাসমান আকারে বিদ্যমান থাকে।

১. ওভেন পোশাকের তুলনায় নিটস পোশাকগুলি নরম এবং আরামদায়ক।

২. ওভেন কাপড়ের তুলনায় নিটসের পোশাকগুলি আরও প্রসারিত।

৩. ওভেন পোশাক নিট পণ্য তুলনায় শক্ত হয়।

পোশাকের দোকানে নিট পোশাকগুলিকে হোসিয়ারি পোশাক বলা হয়। ওভেন কাপড়কে সুতির কাপড় বলা হয়। নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য হ’ল সুতা বা থ্রেড যা তাদের রচনা করে। একটি নিট ফেব্রিক  তৈরি করতে অবিচ্ছিন্নভাবে লুপ করা একটি বুনন ফ্যাব্রিক একক সুতা দিয়ে তৈরি। একাধিক সুতার সমন্বয়ে  ওভেন কাপড়ে গঠিত হয়, একে অপরকে ডান কোণে ডান কোণে অতিক্রম করে।

মনে রাখবেন তুলা ফাইবার ব্যতীত ওভেন কাপড়গুলি অন্য অনেকগুলি যেমন পলিয়েস্টার, নাইলন, ভিসকোস সিল্ক, উল ইত্যাদি থেকে তৈরি হয়।

ওভেন ফেব্রিক কি, ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার, নিট ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কত প্রকার,  নিট ফেব্রিক চেনার উপায়, ওভেন ফেব্রিক চেনার উপায় কি, ও  নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য, nid febric koto prokar, biborun.com

আরো পড়ুন :- ডিসেন্ট লুঙ্গি প্রাইস ইন বাংলাদেশ   নিট ফেব্রিক চেনার উপায়    নিট ফেব্রিক কি ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার কি কি ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি ।  আমানত শাহ লুঙ্গির দামপ্রেসিডেন্ট টরে কাপড় চেনার উপায় মনিপুরী শাড়ির দাম কত কাতান শাড়ি চেনার উপায়

নিট ফেব্রিক কি?

নিডেলের সাহায্যে ইয়ার্ন বা সুতা  দ্বারা লুপ তৈরি করে লুপের ইন্টারমেশিং করার পর যে ফেব্রিক উৎপন্ন করা হয় তাকে নীটেড ফেব্রিক বলে।

নিট ফেব্রিক কত প্রকার

বুনা কাপড়ের দুটি প্রাথমিক বিভাগ রয়েছে: ওয়েফট নিট এবং ওয়ার্প নিট। এই দুটি বিভাগে প্রচুর নিট রয়েছে যা স্বতন্ত্র উপশ্রেণীতে পড়ে। ওয়েফট বুননে জার্সির মতো একক বুনন এবং পাঁজরের মতো ডবল নিট অন্তর্ভুক্ত থাকে। ওয়ার্প নিটের দুটি প্রাথমিক জাত হল পাঁজর এবং ট্রিকোট।

নিট ফেব্রিক চেনার উপায়

  • নিট ফেব্রিকের GSM যত বেশি হবে ফেব্রিকটি তত বেশি মোটা হবে, আর ফেব্রিকের GSM যত কম হবে ফেব্রিকটি তত বেশি চিকন হবে।
  • নিট ফেব্রিকের GSM যত বেশি হবে ফেব্রিকটি বানাতে তত বেশি সুতা লাগবে। ফলে ফেব্রিকের দামও বেশি হবে।
  • VDQ মানে হল Variable Dia for Quality Pulley অর্থাৎ পুলির Dia বাড়ালে Stitch Length বাড়ে ফলে Stitch Density কমে এবং GSM কমে।
  • আর VDQ বা Variable Dia for Quality Pulley পুলির Dia কমালে Stitch Length কমে ফলে Stitch Density বাড়ে ও GSM বাড়ে।
  • যে সুতার কাউন্ট সংখ্যার মান যত বেশি সেই সুতা তত চিকন হবে। যেমনঃ 40 Ne এর সুতা 24 Ne এর চেয়ে চিকন।

নিটিং মেশিনের অন্যতম দুটি প্যারামিটার কি কি?

নিটিং মেশিনের অন্যতম দুটি টেকনিক্যাল প্যরামিটার হলোঃ

  • মেশিন ডায়া (DIA) ও
  • মেশিন গেজ (G)
  • মেশিনের ডায়া ও গেজ যত বেশি হবে নিটিং প্রোডাকশন তত বেশি হবে।
  • সাধারনত ১ ইঞ্চিতে ৩ টা করে ফিডার থাকে। (নিট ফেব্রিক কত প্রকার)
  • কমন কিছু মেশিন ডায়া 20, 22, 26, 30, 34, 36, 38, 40, 42, 46.

 

কিছু কমন মেশিন গেজ কি?

  • Single Jersey Fabric= 22/24/28 G
  • Rib Fabric= 18 G
  • Interlock Fabric= 22 G
  • Fleece Fabric= 20 G

ওভেন ফেব্রিক কি, ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার, ওভেন ফেব্রিক চেনার উপায় কি, ও  নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য, woeb febric cenar upay, biborun.com

আরো পড়ুন :- ডিসেন্ট লুঙ্গি প্রাইস ইন বাংলাদেশ   নিট ফেব্রিক চেনার উপায়    নিট ফেব্রিক কি ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার কি কি ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি ।  আমানত শাহ লুঙ্গির দামপ্রেসিডেন্ট টরে কাপড় চেনার উপায় মনিপুরী শাড়ির দাম কত কাতান শাড়ি চেনার উপায়

ওভেন ফেব্রিক চেনার উপায়

  • ওভেন ফেব্রিক এ দুই সারি সুতা মানে টানা ও পড়েন সুতা ব্যবহার করা হয়।
  • ওভেন ফেব্রিকের এক সারিতে টানা ও অন্য সারিতে পরেন সুতা ব্যবহার করা হয়।
  • নীট ফেব্রিক এর তুলনায় ওভেন ফেব্রিক এর ব্যবহার বেশি হয়।
  • ওভেন ফেব্রিক এর ইলাস্টিকতা নেই বললেই চলে।
  • ওভেন ফেব্রিক এর ক্ষেত্রে ইয়ার্ন ডাইং বা অলওভার প্রিন্টিং করা হয়।
  • ওভেন ফেব্রিক এর ব্যবহারবিধি তুলনামূলক বেশি।
  • প্রত্যেকটি ওভেন ফেব্রিকে একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন থাকে।
  • ওভেন ফেব্রিক দ্বারালেডিস আইটেম এর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • ওভেন ফেব্রিক এর দাম তুলনামূলক সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • ওভেন ফেব্রিক এ টানা সুতায় আগে মার প্রয়োগ করতে হয়।
  • ওভেন ফেব্রিক তুলনামূলকভাবে ভাঁজ বেশি দেখা যায়।
  • ওভেন ফেব্রিকের প্রান্তভাগ গুটিয়ে যায় না।
  • ওভেন ফেব্রিক এর টপ সাইট এবং ইনসাইড দুটি একই রকম অথবা ভিন্ন হতে পারে।
  • ওভেন ফেব্রিক সিঙ্গেল প্লাই, ডাবল প্লাই, ও ট্রিপল প্লাই বিশিষ্ট থাকতে পারে।
  • ওভেন ফেব্রিক তৈরি করার সময় চাইলে চেক,স্ট্রাইপ,ক্রসওভার এবং বিভিন্ন রকম ইফেক্ট সৃষ্টি করা যায়।
  • ওভেন ফেব্রিকের সামনে-পিছনে অথবা উভয় দিকে আনকাট পাইল থাকতে পারে।

জেনে নিন কিছু ওভেন ফেব্রিকের পরিচয় | Woven Fabric

পপলিন

পপলিন ফেব্রিক প্লেইন টাইপ ফেব্রিক, এটা নরমালি ১/১ উইভ যুক্ত কাপড়। এটি ২-৩ টি কন্সট্রাকশনে পাওয়া যায়

110X70/40X40

133X100/40X40

133X72/40X40

Twill টুইল

টুইল কাপড় চেনার উপায় হলো এই ফেব্রিক এর মাঝে বাকা বাকা ডায়াগোনাল দাগ থাকে ।

এটি s, z দুই প্রকার এর হয়।

128X60/20X16 সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার করা হয়।

72X42/7X7 এই কন্সট্রাকশন এর কাপড় টুইল কাপড় এর ভেতরে সবচেয়ে মোটা কাপড়।

আমরা বিভিন্ন টুইল এর ডেরিভেটিভ ডাইং করি :

লাইক্রা টুইল

হেরিংবোন টুইল

ব্রোকেন টুইল

সাটিন টুইল

128X60/20X16 (নন পিচ) এই কাপড় দিয়ে সকল সেল্ফ সেড করা হয় ওভেন ডাইং এর ক্ষত্রে। একে বলা হয় মিডিয়ম কোয়ালিটির কাপড়।

এর সাথে 70,40 ডেনিয়ার এর লাইক্রা দিয়ে লাইক্রা টূইল বানানো হয়। লাইক্রা কোর স্পান সুতা ওয়েফট এ দিতে হয়।

ভয়েল

ওভেন কাপড় এর মাঝে ভয়েল খুবি নাজুক এবং পাতলা কাপড় এটি প্রিট্রিটমেন্ট + ডাইং + আফটার ট্রিটমেন্ট সব জটিল প্রক্রিয়া। (নিট ফেব্রিক চেনার উপায়)

এই কাপড় এতোই দুর্বল যে থান টু থান স্টিচ পর্যন্ত ভালো ভাবে নেয় না । এর জন্য কে হাইটেনশন মেশিনে ব্লিচ বা প্রিট্রিটমেন্ট করা যায় না। সিনজিং ডিসাইজ প্যাডিং এর পর জিগার মেশিনে এই কাপড় তুলে ডিসাইজিং, ব্লিচ, কাস্টিক সাইজিং করা হয় । এর পর ওয়াস করা কাপড় শুকিয়ে কোল্ড প্যাড ব্যাচে ডাইং করা হয়। ডাইং এর পর এই কাপড় এর থান টু থান এর স্টিচ দুর্বল হয়ে যায় এর জন্য আবার কন্টিনিউয়াস ওয়াসে না তুলে এ পুনোরায় ডাইং আফটার ওয়াস এর জন্য জিগারে তোলা হয় এবং দুর্বল জয়েনিং গুলো রিনিউ করা হয়, এখানে ওয়াস হয় গেলে কাপড় নামিয়ে দেয়া হয় এবং এই ভেজা কাপড় স্টেনটার বা কন্টিনিউয়াস ওয়াসিং এ ওয়াস করা হয়।

কন্সট্রাকশন : 96X88/60X60

এই কাপড় চালাতে চায় না অপারেটররা কারন এটির প্রসেস স্লো আর প্রডাকশন কম।

সাটিন কাপড় :

১. সাটিন কাপড় ওয়ার্প ফেইস কাপড় আর এই কাপড় গুলির ফেইস সাইড পিচ্ছিল এবং স্মুথ।

২. এই কাপড় এর এবজরবেন্সি প্লেইন টুইল এর চেয়ে বেশি।

৩. ওয়ার্পে ইয়ার্ন এর ফ্লোটিং বেশি।

৪. ফেইসে টুইল এর মতো ডায়াগোনাল লাইন বা প্লেইন এর মতো স্ট্রাইকাচার থাকবে না।

৫. মেক্সিমাম সাটিন কাপড় লাইক্রা যুক্ত থাকে। (নিট ফেব্রিক চেনার উপায়)

৬. এই ডাইজ পিক আপ, টেক আপ, আবজরবেন্সি, লাসচার অন্য কাপড় গুলি তুলনায় বেশি।

৭. ওয়ার্প ফেইস এর দরুন ডাইং এর পর ফেইস এর সেড আর ব্যাক এর সেড আলাদা রকম মনে হয়।

৮. সাটিন কাপড় এর সেড ফেইস ধরে মিলাতে হবে ব্যাক স্টেন্ডার্ড ধরে মিলানো যাবে না।

৯. এই কাপড় এর স্রিংকেজ অনেক বেশি।

ক্যানভাস

ছবি আকার ক্যানভাস নয় এটি ফেব্রিক ক্যানভাস

টাইপ : প্লেইন ফেব্রিক

চেনার উপায় : এটিকে পপলিন এর বড় ভাই বলে ডাকি আমরা

ডিজাইন ১/১ কিন্তু এর ওয়েফটে ডাবল সুতা দেয়া হয় কাউন্ট ১৬x১৬+১২

বৈশিষ্ট্য : পপলিন এর তুলানায় পাতালা কিন্তু এর ওয়েফটে ডাবল ইয়ার্ন থাকার কারনে এটি খস খসে হয়।

ফেক্টরির অভিজ্ঞ লোকেরা হাতে ধরার আগ পর্যন্ত বলতে পারে না পপলিন নাকি এটা ক্যানভাস। এই ভুল সবাই করে, কাপড় আগে হাতের তালুতে ধরে দেখতে হয়।

এটি আর পপলিন প্রায় সিমিলার

TC Teriline/Polyester Cotton Blend কাপড় ডাইং :

সাধারণত কিছু TC আমরা ডাইং করি আমাদের পকেটিং এর কাপড় এর জন্য। আমাদের CPB তে আমরা কটন পার্ট ডাইং করি আর পলিস্টার নিটিং এর HTHP তে ডাইং করে নিয়ে আসি। পরে কটন পার্ট আমরা কন্টিনিউয়াস ডাইং করি।

Construction :110X70/45X45

ফ্লানেল ফেব্রিক :

কিছু ওভেন ডাইং এর ইয়ার্ন ডাইড ফেব্রিক আছে যাকে ব্রাশিং করে ফ্লাপি করা হয়, এই ফেব্রিক গুলিকে বলা হয় ফ্লানেল ফেব্রিক বলা হয়। (নিট ফেব্রিক চেনার উপায়)

তথ্য:

১. এই ফেব্রিক গুলি রেইজিং মেশিনে ব্রাশিং করা হয়।

২. ব্রাশ ফেব্রিক এর ফেস সাইডে হয়। বায়ার চাইলে ব্যাকে করা হয়।

৩. ব্রাশিং কোয়ালিটি কি হবে বা কেমন মোলায়েম হবে এর জন্য বায়ার হেন্ডফিল সোয়াচ দিয়ে দিবে।

৪. এই কাপড় এর ব্রাশ কোয়ালিটি বায়ার এর কাছে দেখিয়ে আগে এপ্রুভ করিয়ে নিতে হয়। তা না হলে ভুলে ব্রাশ করা কাপড় আর আগের মতো করা সম্ভব হয় না।

৫. এই কাপড় ব্রাশিং এর আগে স্টেনটারে আগে স্ট্রেস করে নিতে হয়।

৬. এই ব্রাশ করা কাপড় চালাতে এর ঘষায় মেশিনে প্রচুর স্টেটিক চার্জ তৈরি হয়, তাই এই কাপড় মেশিন এর রোলার এর সাথে আটকে যেতে চায়। তাই ট্রলিতে কাপড় নেয়ার সময় তাতে আর্থিং দেয়া হয়।

৭. ব্রাশ তিন প্রকার :

  • লাইট ব্রাশ
  • মিডিয়াম ব্রাশ
  • হেবি ব্রাশ

৮. এই কাপড় কে নুনতম দুবার থেকে একাধিক বার ব্রাশ করা হয় কাংখিত ব্রাশ কোয়ালিটি পেতে।

৯. ব্রাশ এর পর একে সফট ফিনিশিং করে দিতে হয়।

১০. এই কাপড় এর বোইং এর প্রবনতা আনেক তাই তা স্টেনটারে ঠিক করে দিতে হবে।

১১. ফ্লানেল ফেব্রিক গুলি দিয়ে নাইট ওয়ার তৈরি করা হয়।

১২. এই কাপড় গুলি সানফোরাইজ করা হয় না।

১৩. এই কাপড় এর পিলিং টেস্ট করা হয়।

১৪.. প্রসেস :

ফেব্রিক > সিনজিং + ডিসাইজিং > ওয়াসিং > স্ট্রেসিং + স্টেনটারিং > ব্রাশিং > স্টেনটারে সফট ফিনিশিং > রোলিং > ডেলিভারি

১৫. ওই কাপড় ব্রাশিং করার আগে সফট ফিনিশিং করা যাবে না, তা হলে কাপড় রেইজিং করার সময় কাপড় ছিড়ে যাবে। (নিট ফেব্রিক চেনার উপায়)

আমরা ফেব্রিক কি, ফেব্রিক কত প্রকার, ফেব্রিক চেনার উপায় কি, ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার, নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য, febric cenar upay, biborun.com

আরো পড়ুন :- ডিসেন্ট লুঙ্গি প্রাইস ইন বাংলাদেশ   নিট ফেব্রিক চেনার উপায়    নিট ফেব্রিক কি ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার কি কি ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি ।  আমানত শাহ লুঙ্গির দামপ্রেসিডেন্ট টরে কাপড় চেনার উপায় মনিপুরী শাড়ির দাম কত কাতান শাড়ি চেনার উপায়

সেমব্রে ফেব্রিক্স

Chambray Fabrics সেমব্রে ফেব্রিক্স

কনস্ট্রাকশন

১১০ X ৭০ / ৪০ X ৪০

কম্পোজিশন

সাধারনত ১০০% কটন

১/১ বেসিক প্লেইন ডিজাইন এর ওয়ার্প এবং ওয়েফটে ভিন্ন কালার এর সুতা দিয়ে ডেনিম এর মতো ইফেক্ট যুক্ত কিছু ইয়ার্ন ডাইড ফেব্রিক প্রুস্তুত করা হয় একে সেমব্রে ফেব্রিক বলে।

এই কাপড় গুলি সাধারনত শার্ট কিংবা যে কোন গার্মেন্টস এর কন্ট্রাস্ট পার্ট হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।

সেমব্রে কাপড় গুলি ডেনিম এর মতোই ওয়ার্পে ব্লু, ব্লাক এবং ওয়েফটে হোয়াইট, গ্রে সুতা দিয়ে করা হয়।

কালার এর উপর এর নাম নির্ভর করে যেমন কালার ব্লু হলে একে ব্লু সেমব্রে কালার ব্লাক হলে একে ব্লাক সেমব্রে বলে।

বিভিন্ন ফেব্রিক চেনার উপায়

(1) Single Jersey: Fabric এর Top Side-এ চিকন চিকন দাগ থাকে এবং In Side- এ Net এর মত জালি থাকে। এই জাতীয় Fabric কে Single Jersey বলে।
(2)All Over Print: যে Single Jersey Fabric এর Top Side- এ print থাকে তাকে All Over Print বলে।
(3) Yarn Dyed: যে Fabric এর Top & Bottom উভয় Side-এ একই ধরনের কালারের Stripe দেখা যায় তাকে Yarn Dyed Fabric বলে।
(4) Grey Melange S/J: Single Jersey যদি সাদা এবং Grey কালারের Mixed হয় তার নাম Grey Melange Single Jersey বলে।
(5) Terry Jersey: Top side দেখতে Single Jersey এর মত কিন্তু In Side Towel বা Bandege এর মত। এই জাতীয় Fabric কে Terry Jersey Fabric বলে।
(6)Fleece One Side Brush: Top Side Plain Single Jersey এর মত কিন্তু In side Brush বা তুলাতুলা।এই জাতীয় Fabric কে Fleece One Side Brush Fabric বলে।
(7) Rib : Top & Bottom উভয় Side-এ খাড়া লম্বা লম্বা দাগ থাকে এবং টানলে বাড়ে। এই জাতীয় Fabric কে Rib Fabric বলে। Rib Fabric কয়েক প্রকারের হয়।
যেমন:- 1*1 Rib
2*2 Rib
3*3 Rib
4 *4 Rib
(8)Pique(PK)/Lacoust : Top Side Dimond এর মত ভীট থাকে এবং In side Plain থাকে। ভীট ছোট হলে Single Lacoust এবং ভীট বড় হলে Doubble Lacoust বলে।
(9)Lycra Single Jersey :যে S/J কে দৈঘ্য প্রস্থ যে কোন দিকে টানলে বাড়ে তার নাম Lycra Single Jersey বলে। (নিট ফেব্রিক চেনার উপায়)
(10)Lycra Rib: যে Rib Fabric উভয় দিকে টানলে বাড়ে তার নাম Lycra Rib । Lycra Rib কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন:
1*1 Lycra Rib
2*2 Lycra Rib
3*3 Lycra Rib
4*4 Lycra Rib
(11) Pollar Fleece:যে Fabric এর Both Side এ Brush করা বা তুলাতুলা তার নাম Pollar Fleece বলে।
(12)Mesh Fabric: মশারির মত বুনন বা ফাকা ফাকা মশারির মত ছিদ্র যুক্ত তাকে Mesh Fabric বলে।
(13)Interlock: Top Side এবং In Side Single Jersey এর মত খাড়া খাড়া বা লম্বা লম্বা দাগ দেখা যায় কিন্তু টানলে খুব অল্প বাড়ে। এই জাতীয় Fabric কে Interlock Fabric বলে।
(14) Slub Fabric:যে Fabric এর weath বরা বরা ছোটো ছোটো দাগ বা গিট থাকে তাকে Slub Fabric বলে।
(15) Burn out Fabric: যে Fabric pollester এবং Cotton Yean দিয়ে তৈরি করার পর AOP Factory থেকে বিশেষ ধরনে মেশিনের সাহায্যে কিছু কিছু অংশ থেকে cotton অংশ পুরিয়ে দিয়ে এক ধরনের ডিজাইন তৈরি করা হয়। এই জাতীয় Fabric সাধারণত Ladies iteam তৈরি করা হয়।

ওভেন ফেব্রিক এর কিছু নাম

*Solid fabric

* Yarn Dyed check

*Yarn Dyed strip

*Printed fabric

*Cashmere fabric

*Chambray fabric

*Brocade fabric

*Corduroy fabric (wrap pile)

*Chenille fabric

*Crepe fabric (satin weave)

*Dark Denim

*Light denim

*Black denim

*Sand blast shade of denim

*Denim texture

*Printed denim

*Skin texture denim

*Flannel fabric

*Jeans

*Gabardine fabric

*Dogtooth

*Herringbone fabric (twill weave)

*Birdseye design of fabric

*Oxford fabric

*Solid poplin

*Rip stop Oxford

*Matt weave (plain weave)

*Terry fabric

*Seer sucker fabric

*Taffeta fabric

*Printed poplin

*Velvet fabric

*Cut velvet

*Canvas fabric

*Twill fabric

সুতার কাউন্ট কি?

কাউন্ট একটি সংখ্যা শব্দ। যার দ্বারা সুতার একক দৈর্ঘ্যের ভর বা এক ভরের দৈর্ঘ্য বোঝায়।

সুতার কাউন্ট কত প্রকার এবং কি কি?

সুতার কাউন্ট দুই প্রকার:

  • প্রত্যক্ষ পদ্ধতি (Direct system)
  • পরোক্ষ পদ্ধতি (Indirect system)

প্রত্যক্ষ পদ্ধতি কি?

সুতার একক দৈর্ঘ্যের ভরকে ডিরেক্ট কাউন্ট বলে। অর্থাৎ, সুতার সংখ্যা যত বেশি হবে, সুতা তত ঘন হবে। কিন্তু কাউন্ট কম, সুতা সূক্ষ্ম. যেমন: ট্যাক্স কাউন্ট, ডিনার কাউন্ট ইত্যাদি।

সরাসরি গণনা (N) = (l×W)/(L×w)
এখানে,
N= সুতা গণনা
L = নমুনা সুতার দৈর্ঘ্য
W = নমুনা সুতার ওজন
w= ওজনের একক
l=দৈর্ঘ্যের একক

পরোক্ষ পদ্ধতি কি?

সুতার একক ভরের দৈর্ঘ্যকে ইনডাইরেক্ট পদ্ধতি বলে। পরোক্ষ পদ্ধতিতে, সুতার সংখ্যা যত বেশি হবে, সুতা তত সূক্ষ্ম হবে। এবং গণনা যত কম হবে, সুতা তত ঘন হবে।

পরোক্ষ কাউন্ট (N) = (L×w)/(l×W)
এখানে,
N= সুতা গণনা
L = নমুনা সুতার দৈর্ঘ্য
W = নমুনা সুতার ওজন
l=দৈর্ঘ্যের একক
w = ওজনের একক

শেষ কথা

প্রিয় দর্শক বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা ওভেন ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কত প্রকার, নিট ফেব্রিক চেনার উপায় ও  নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটা বুঝতে আপনাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছে। এই সম্বন্ধে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে করুন। শীঘ্রই আপনার কমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে ইনশাল্লাহ।

আরো পড়ুন :- ডিসেন্ট লুঙ্গি প্রাইস ইন বাংলাদেশ   নিট ফেব্রিক চেনার উপায়    নিট ফেব্রিক কি ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার কি কি ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি ।  আমানত শাহ লুঙ্গির দামপ্রেসিডেন্ট টরে কাপড় চেনার উপায় মনিপুরী শাড়ির দাম কত কাতান শাড়ি চেনার উপায়

tag: ওভেন ফেব্রিক কি, ওভেন ফেব্রিক কত প্রকার, নিট ফেব্রিক কি, নিট ফেব্রিক কত প্রকার,  নিট ফেব্রিক চেনার উপায়, ওভেন ফেব্রিক চেনার উপায় কি, ও  নিট এবং ওভেন কাপড়ের মধ্যে মূল পার্থক্য, সুতার কাউন্ট কত প্রকার, nid febric cenar pay, biborun.com

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top