অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ এবং এর প্রতিকার কি কি রয়েছে

অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি তা জানতে পাঠকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কৌতূহল। কারন, অতিপুষ্টির কারণে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে পুষ্টি জমে থাকে, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টি উভয়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ বিষয়ে সতর্ক থাকলে আমরা ভবিষ্যতে বড় সমস্যা এড়াতে পারব। আজকের নিবন্ধে আমরা অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ কি কি এবং এর প্রতিকার কি রয়েছে সে সম্পর্কে জানব । তাহলে আর কথা না বলে চলুন শুরু করা যাক।

অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির লক্ষণ, অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ এবং প্রতিকার কি, অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি, অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টির কারণ, অতিপুষ্টি প্রতিরোধে যা করবেন,  otipustir saririk lokhon gulo ki ki, biborun.com

অতিপুষ্টি কি

অত্যধিক পুষ্টি ঘটে যখন আপনি প্রতিদিন আপনার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পুষ্টি (বা পুষ্টি) গ্রহণ করেন। যদিও অনেকে পুষ্টির অভাব হিসাবে অপুষ্টিকে মনে করে, অতিরিক্ত গ্রহণকেও অপুষ্টি হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এর নেতিবাচক স্বাস্থ্যের ফলাফল। অতিপুষ্টির লক্ষণগুলি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং এটি ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা উপর নির্ভর করতে পারে। এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে হতে পারে।

অতিপুষ্টির লক্ষণ:

  • এ (রেটিনল)
    • অতিরিক্ত ভিটামিন A এর প্রাথমিক ইঙ্গিতগুলির মধ্যে চুলকানি এবং শুষ্ক ত্বক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
    • ভিটামিনA শরীরে এত বেশি পরিমাণে জমা হলে তা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।
    • মাথা ঘোরা
    • বমি বমি ভাব
    • মাথাব্যথা
    • বমি
    • B1 (থায়ামিন, অ্যানিউরিন) 

অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি

  • ওজন বৃদ্ধি: একজন ব্যক্তির ওজনের অতিবৃদ্ধি হতে পারে অতিপুষ্টির একটি লক্ষণ।
     মিতব্যয় মোতাবেক ওজন কমে যাওয়া: যদি একজন ব্যক্তি স্বাভাবিক খাদ্যপ্রণালী মধ্যেই স্বাভাবিক ওজন কমিয়ে নেয়, তবে এটি অতিপুষ্টির লক্ষণ হতে পারে।
     শারীরিক দুর্বলতা: অতিপুষ্টি হলে শারীরিক দুর্বলতা হতে পারে এবং এটি কাজের ক্ষমতা, শক্তি ও পৌঁছানোর ক্ষমতার কমতিরে যেতে পারে।
    স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা: অতিপুষ্টির ফলে আমলাদের শরীরে একে অপরের প্রতি সক্ষম হতে একে বোঝা সহায় করতে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যেমন অসম্মানকারী অম্ল আত্ম-ধ্বংসকর ব্যবহার এবং অন্যান্য সমস্যাসমূহ।
    স্থূলতা: অতিরিক্ত পুষ্টির সবচেয়ে সাধারণ শারীরিক লক্ষণ হল স্থূলতা। স্থূলতা হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ: অতিরিক্ত পুষ্টি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া: অতিরিক্ত পুষ্টির কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
  • ডায়াবেটিস: অতিরিক্ত পুষ্টি ডায়াবেটিস হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যা: অতিরিক্ত পুষ্টির কারণে অনেক সময় ত্বকে ব্রণ ও প্রদাহ দেখা দেয়।
  • অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: অতিরিক্ত পুষ্টি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যারও কারণ হতে পারে, যেমন লিভারের রোগ, কিডনি রোগ এবং পিত্তথলির পাথর।
  • মানসিক সমস্যা: অতিপুষ্টির ফলে মানসিক সমস্যাও হতে পারে, যেমন অবসাদ, চিন্তা, অসুস্থ মানসিক স্বাস্থ্য এবং কারণে মনোবিকারের বৃদ্ধি। এই লক্ষণগুলি সম্পর্কিত কোনও সনাক্তকারী লক্ষণ অনুভব করলে ব্যক্তির অবস্থার জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
  • স্থূলতা: অতিরিক্ত পুষ্টির সবচেয়ে সাধারণ শারীরিক লক্ষণ হল স্থূলতা। স্থূলতা হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ: অতিরিক্ত পুষ্টি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া: অতিরিক্ত পুষ্টির কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
  • ডায়াবেটিস: অতিরিক্ত পুষ্টি ডায়াবেটিস হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যা: ত্বকের ব্রণ এবং প্রদাহ প্রায়ই অতিরিক্ত পুষ্টির কারণে হয়ে থাকে।

অতিপুষ্টি প্রতিরোধে যা করবেন

  • স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • খুব বেশি ক্যালোরি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

অতিপুষ্টি অতিরিক্ত মাত্রা (সম্ভবত ইনজেকশন দ্বারা) বিষাক্ত উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে যেমন:

  • এলার্জি প্রতিক্রিয়া
  •  হৃদস্পন্দন
  •  নার্ভাসনেস
  • কাঁপুনি এবং ফুলে যাওয়া
  • B2 (রাইবোফ্লাভিন)

অতিপুষ্টির লক্ষণগুলি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং এটি ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা উপর নির্ভর করতে পারে। এই অবস্থা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণে হতে পারে।
A (রেটিনল) অতিরিক্ত ভিটামিন A এর প্রাথমিক ইঙ্গিতগুলির মধ্যে শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ভিটামিন এ শরীরে এত বেশি পরিমাণে জমা হতে পারে যে তা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।

অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টির কারণ

সাধারণত দারিদ্র্যের কারণে আমরা অনেকেই পুষ্টিকর খাবারের সামর্থ্য রাখতে পারি না। তাই বেশিরভাগ সময়ই অপুষ্টিজনিত রোগ দেখা যায়। আবার চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার বা ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে ওজন খুব দ্রুত বেড়ে যায় যার কারণে শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়।

অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির লক্ষণ, অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ এবং প্রতিকার কি, অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি, অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টির কারণ, অতিপুষ্টি প্রতিরোধে যা করবেন,  otipustir saririk lokhon gulo ki ki, biborun.com

আরো পড়ুন :-  গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম  দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়  মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি 

অতিপুষ্টি কেন হয়

অতিপুষ্টি সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলির কারণে ঘটে:

  1. অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ: যদি কেউ তার দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালরির চেয়ে বেশি ক্যালরি গ্রহণ করেন, তবে সেই অতিরিক্ত ক্যালরি চর্বি হিসেবে জমা হয়, যা অতিপুষ্টির কারণ হতে পারে।
  2. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্ট ফুড, চিনি এবং চর্বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়ার ফলে অতিপুষ্টি হতে পারে। এই ধরনের খাবারগুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকে কিন্তু ক্যালরি বেশি থাকে।
  3. শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব: শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করার ফলে দেহে ক্যালরি পোড়ানোর হার কমে যায়, যা চর্বি জমা করে এবং অতিপুষ্টির দিকে নিয়ে যায়।
  4. বসন্ত জীবনধারা: যারা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, যেমন অফিসের কাজ, তাদের মধ্যে অতিপুষ্টির ঝুঁকি বেশি থাকে কারণ তারা কম পরিশ্রম করেন এবং ক্যালরি খরচ কম হয়।
  5. হরমোনজনিত সমস্যা: কিছু হরমোনজনিত সমস্যার কারণে (যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এবং চর্বি জমা হতে পারে।
  6. মনস্তাত্ত্বিক কারণ: স্ট্রেস, অবসাদ, এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার কারণে অনেক সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়, যা অতিপুষ্টির কারণ হতে পারে।
  7. পারিবারিক বা জেনেটিক কারণ: পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক কারণে কিছু মানুষের অতিরিক্ত ওজন বাড়ার প্রবণতা বেশি থাকতে পারে।
  8. খাবার গ্রহণের সময়: অনিয়মিত খাবার গ্রহণের সময়সূচি, রাতে দেরি করে খাওয়া, এবং বেশি পরিমাণে স্ন্যাকস খাওয়ার ফলে অতিপুষ্টি হতে পারে।

এগুলো ছাড়াও, খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং বিজ্ঞাপনের প্রভাবও অতিপুষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

শেষ কথা:

প্রিয় পাঠক, আজকে আর্টিকেলে আমরা অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ ও প্রতিকার কি কি সে সম্পর্কে এই আলোচনা করেছি। আশা করি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এবং আপনি নিবন্ধটি পছন্দ করেছেন। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।

আরো পড়ুন :- কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়   ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা  খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় 

Tag: অপুষ্টি ও অতিপুষ্টির লক্ষণ, অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ এবং প্রতিকার কি, অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি, অপুষ্টি এবং অতিপুষ্টির কারণ, অতিপুষ্টি প্রতিরোধে যা করবেন,  otipustir saririk lokhon gulo ki ki, biborun.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top