গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস অফিসারের কাজ

প্রিয় পাঠক আপনি যদি জানতে চান গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিশ অফিসারের কাজ কি এবং শিক্ষানবিশ অফিসার পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে, আপনি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শিক্ষানবিশ অফিসারের চাকরি সম্পর্কে এবং শিক্ষানবিশ অফিসার হওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন তা জানতে পারবেন। তো চলুন আজকের পর্বের মাধ্যমে জেনে নিই গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা।

গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ট্রেইনি অফিসার পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলি কেমন এবং গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ট্রেইনি অফিসারের কাজ কী তা জানতে এই  প্রবন্ধ টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো চলুন আজকের পর্বের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিশ অফিসার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস কর্মকর্তার কাজ কী?

আপনি কি গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস কর্মকর্তার কাজ জানতে চান? একজন শিক্ষানবিশ অফিসার বা ফিল্ড অফিসারের কাজ হল গ্রাহকদের বাছাই করা থেকে শুরু করে তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তার কেন্দ্রে যাওয়া, তাদের বিনিয়োগ দেওয়া এবং বিনিয়োগগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।

কিস্তির ওভারভিউ, মামলা এবং আদালতে হাজিরা দেওয়া। অনেক সময় দেখা যায় মূল কাজ বা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো মাঠ কর্মকর্তারা করে থাকেন। কারণ সব এনজিওতে কিস্তি সংগ্রহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা নবাগত কর্মকর্তারা করেন।

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস কর্মকর্তার বেতন কত?

আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষানবিস কর্মকর্তার বেতন কত? কত এক বছরের প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পরীক্ষার চূড়ান্ত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। একজন সিনিয়র অফিসার হিসাবে, একজন অফিসারকে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড IX এর বেতন এবং ভাতা এবং সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়। তবে সরাসরি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রথমে

মাসিক বেতন ১১ হাজার টাকা এবং প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করার পর দ্বিতীয় দফায় ১২ হাজার টাকা হারে ভাতা দেওয়া হয়।

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস অফিসারের  কাজের সুযোগ সুবিধা কেমন

সুবিধা: নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের যোগদানের পর এক বছরের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। প্রশিক্ষণকালীন প্রথম পাঁচ মাসে 11,000 টাকা (ভ্রমণ ও মোবাইল ভাতা সহ) প্রশিক্ষণ ভাতা এবং পরবর্তী সাত মাসের জন্য 12,000 টাকা (ভ্রমণ ও মোবাইল ভাতা সহ) প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে।

প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বাসস্থান ও খাবারসহ) এবং ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণ ও অস্থায়ী পোস্টিং দেওয়া হয়। প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর, প্রথমে আঞ্চলিক অফিসে এবং পরে শাখাগুলিতে প্রশিক্ষণার্থী অফিসার এবং শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে চূড়ান্ত পোস্টিং দেওয়া হয়। 1-বছরের প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষে, প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পরীক্ষার আয়োজন করা হয় (প্রত্যেকে সাধারণত প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়)।

চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, সিনিয়র অফিসারদের জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড 9-এর বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। বেতন ও উৎসব ভাতা ছাড়াও একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতি বছর প্রণোদনা ও লাভ বোনাস পান। এছাড়াও, অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি হাউস লোন পান।

চাকরির সময় সন্তোষজনক কর্মক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট ফিডার মেয়াদ শেষ হলে, একজন কর্মকর্তাকে সিনিয়র অফিসার থেকে উপ-প্রধান কর্মকর্তা, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এলাকার দায়িত্বে), সহকারী জেনারেল ম্যানেজার, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জোনের দায়িত্বে) পদে উন্নীত করা হয়। , মহাব্যবস্থাপক (প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে)। পদোন্নতি পেতে. গ্রামীণ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে পদায়ন করা হয় না।

শেষ কথা:

প্রিয় পাঠক, আজকে আজকে গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস অফিসারের কাজ কি কি এবং তার সুবিধা কেমন নিয়ে নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আশা করি বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এবং আপনি নিবন্ধটি পছন্দ করেছেন। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।

আরো পড়ুন :- নগদ একাউন্ট পিন ভুলে গেলে কি করণীয়

Tag:- আজকে গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস অফিসারের কাজ, গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষানবিস কর্মকর্তার বেতন কত, শিক্ষানবিশ অফিসার এর কাজ কি,BIBORUN.COM

FAQ:

• গ্রামীণ ব্যাংক কি?
• গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক। এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস। গ্রামীণ ব্যাংক 1976 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি 1983 সালে একটি বৈধ ও স্বাধীন ব্যাংক হিসাবে শুরু হয়।
• শিক্ষানবিশ অফিসার এর কাজ কি
• তারা নতুন গ্রাহকদের জন্য ব্যাংক খোলার প্রক্রিয়া নির্দেশ করে এবং তাদের ব্যাঙ্ক সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবহিত করে। এছাড়াও, তারা মামলা দায়ের করে এবং সময়মতো কিস্তি পরিশোধ না করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য আদালতে হাজির হয়।
• শিক্ষানবিশ হলে কি করতে হয় ?
• এটি ব্যক্তিদের উপার্জন করার একটি উপায় যখন তারা একটি নির্দিষ্ট কাজের ভূমিকায় মূল্যবান দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে শেখে। শিক্ষানবিশরা চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষা, চাকরির বাইরে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ এবং বাস্তব কাজের পরিবেশে নতুন দক্ষতা অনুশীলন করার সুযোগের বিস্তৃত মিশ্রণের মাধ্যমে এটি অর্জন করে।
• ভারতে শিক্ষানবিশের বয়সসীমা কত?
• উত্তর: 14 বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো ব্যক্তি শিক্ষানবিশ আইন, 1961-এ সংজ্ঞায়িত মৌলিক শারীরিক এবং শিক্ষাগত মান পূরণ করে। সংশ্লিষ্ট ট্রেডে ফ্রেশার/আইটিআই পাস-আউটরা ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণে যোগ দিতে পারেন।