শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায় । শীতকালের ফলের নাম । বিবরণ.কম

শীতকাল রিতু কে কমবেশি আমরা সকলেই পছন্দ করে থাকি।  কারণ এই  শীতের মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন ফুল, ফলের দেখা মিলে। এই  শীতকালে কিকি ফল পাওয়া যায় তা শীতের সময় ছাড়া  উপলব্ধি করা যায় না।  এই শীতকালীন ফল-ফুল, কুয়াশায় ভেজা নরম ঘাস আমাদের মনমুগ্ধ করে তোলে। বৈচিত্র্য ও অভিনবত্বে দিক থেকে শীত অন্যান্য ঋতু থেকে আলাদা।

শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায়, শীতকালের ফলের নাম. আমলকী,আপেল, ডালিম,পেয়ারা, বিবরণ.কম, biborun.com,

শীতের এই সময়ে খাদ্য তালিকায় অনেক পরিবর্তন আসে। মেনুতে শুধু সবজি নয়, ফলমূলসহ নানা ধরনের সুস্বাদু ফলও দেখা যায় শীতের এই মৌসুমে। শীতের এই সময়ে ফলের সেট অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। (শীতকালে কিকি ফল পাওয়া যায়)

আপেল :

প্রবাদ আছে, যদি প্রতিদিন একটি আপেল খাও, ডাক্তার দূরে থাকবে। অর্থাত্‍ দিনে একটি আপেল খেলে সুস্থ থাকা যায়। যারা অল্পে রেগে যায়, অনিদ্রায় ভোগে তারা প্রতিদিন একটি লাল আপেল খোসাসহ খেলে সমস্যা চলে যাবে।

শিশুর হজমশক্তি কমে গেলে লাল আপেল বেটে রস খাওয়ালে বদহজম ও হজমশক্তিহীনতা দূর হবে। আপেল খেলে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। নিয়মিত আপেল খেলে কোলন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।

সফেদা:

সফেদা দেখতে সুন্দর না হলেও নানা গুণে সমৃদ্ধ। সুগন্ধ আর মিষ্টতার দিক দিয়ে ফলটি অনেক এগিয়ে।পরিশ্রমজনিত ক্লান্তি, অপুষ্টি, হার্টের দুর্বলতা ইত্যাদি রোগে পাকা সফেদা উপকারি। এছাড়া , ত্বক উজ্জ্বল রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সফেদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায়, শীতকালের ফলের নাম. আমলকী,আপেল, ডালিম,পেয়ারা, বিবরণ.কম, biborun.com,

আরো পড়ুন:- শীতকালীন সময় খাদ্য তালিকা  যেসব খাবারে শরীর ভেতর থেকে গরম রাখেশীতে শরীর গরম রাখার খাবার

ডালিম :

জনপ্রিয় ফলের মধ্যে ডালিম অন্যতম। ফলটি কারো কাছে বেদানা, কারো কাছে আনার নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে তিন ধরনের ডালিমের কথা বলা হয়েছে- মিষ্টি ডালিম, টক ডালিম এবং টক ডালিম। মধু ডালিমের বীজ বেশি লাল, রসালো ও উপকারী। ডালিম আমাশয়, হৃদরোগ, যকৃতের বৃদ্ধি, অনিদ্রা, বদহজম, পিত্তহীনতা, অ্যানোরেক্সিয়া, কৃমি, লিউকোপ্লাকিয়া, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদিতে উপকারী।

জলপাই :

শীত মৌসুমের জনপ্রিয় ফল জলপাই। জলপাই পাতা এবং ফল প্রযুক্তি। জলপাইয়ের পাতা ও ফল দুটোই উপকারি। ফলের রস থেকে একটি তেল তৈরি করা হয় যার অনেক গুণ রয়েছে। টক ফলের মধ্যে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। ভিটামিন শরীরের রোগজীবাণুকে চ্যাপ্টা করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, রক্তে চর্বি জমা কমায়, হৃৎপিণ্ডে রক্ত ​​চলাচল উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, কোলন ক্যান্সার দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

আমলকী:

আমলকী কে বলা হয় ভিটামিন ‘সি’-এর রাজা। শীতের সুস্বাদু এবং উপকারি ফল আমলকী। আর এ ভিটামিন সি মাড়ি মজবুত, ত্বক সুরক্ষা, এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায়, শীতকালের ফলের নাম. আমলকী,আপেল, ডালিম,পেয়ারা, বিবরণ.কম, biborun.com,
কমলা :

শীতের ফলের রাজা বলা হয় কমলাকে। বর্তমানে আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চলে কিছু কিছু কমলার চাষ হচ্ছে। গুণে ফলটির তুলনা নেই। হৃদরোগীদের জন্য কমলা খুবই উপকারি। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । প্রতিদিন একটা কমলা খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে, অপুষ্টি দূর হবে।

কুল :

 শীতের জনপ্রিয় ফল কুল। সচরাচর দেশের সব জায়গাতেই দেখা যায়। কুল নানা জাতের হয়। যেমন- নারকেল কুল, আপেল কুল, বাউ কুল ইত্যাদি।

তবে সব জাতের কুলই উপকারি। ফোঁড়া, মাথাব্যথা, হৃদরোগ, প্রদাহ, রক্ত আমাশয়,কোষ্ঠকাঠিন্য, ইত্যাদি সমস্যা কুল, ছাল, কুলের পাতা, সমাধান করতে পারে। হজমের জন্য এই ফল ভালো। এটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ। কোলন ক্যানসার, ফ্লু, হাঁপানি, ও বাতের ব্যথা সারাতে বরই বেশ উপকারী।

বরই সবার জন্য ভালো হলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কিন্তু না। পাকা বরইয়ে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পাকা বরই না খাওয়াই ভালো।

শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায়, শীতকালের ফলের নাম. আমলকী,আপেল, ডালিম,পেয়ারা, বিবরণ.কম, biborun.com,

আরো পড়ুন:- শীতকালীন সময় খাদ্য তালিকা  যেসব খাবারে শরীর ভেতর থেকে গরম রাখেশীতে শরীর গরম রাখার খাবার

আম :

শীতকালে আম একটি মুখ্য ফল। বাংলাদেশে অনেক প্রকার আম উৎপাদন হয় এবং এটি দেশের অনেক জনপ্রিয় ফলের মধ্যে অধিকাংশ রাজি থাকে।

লিচু :

লিচু একটি আদর্শ শীতকালীন ফল, যা বাংলাদেশে প্রচুরভাবে উৎপাদন হয়। শীতকালে লিচু বাজারে আসে এবং এটি অনেক জনপ্রিয় হয়।

শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায়, শীতকালের ফলের নাম. আমলকী,আপেল, ডালিম,পেয়ারা, বিবরণ.কম, biborun.com,
পেয়ারা :

শীতকালেও আপনি বাজারে পেয়ারা পাবেন। পুষ্টিগুণ আর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখলে পেয়ারা খেলে প্রচুর লাভ। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেয়ারা রাখা যেতে পারে।

পেয়ারার বিশেষ পাঁচটি গুণের মধ্যে রয়েছে , এটি চোখের জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এটি ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী, পেটের জন্য উপকারী আর ক্যানসার প্রতিরোধী। এতে আছে, ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়, যা কমলালেবুর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি ভিটামিন। পেয়ারায় আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স।

আকাউন্ট :

এটি একটি ফলের প্রজাতি যা বাংলাদেশে উৎপাদন হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারে পাওয়া যায়। এই ফলগুলি শীতকালে বাংলাদেশে উৎপাদন হয় এবং এটি স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়। এছাড়াও, আমদের দেশে অনেক অন্যান্য ফলের প্রকার পৌঁছানো হয়, যা শীতকালে আমাদের বাজারে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:- শীতকালীন সময় খাদ্য তালিকা  যেসব খাবারে শরীর ভেতর থেকে গরম রাখেশীতে শরীর গরম রাখার খাবার

tag:-  শীতকালে কি কি ফল পাওয়া যায়, শীতকালের ফলের নাম

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top