শীতকালে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত

বাংলাদেশের শীতকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃহত্তর অঞ্চলে অক্টোবর থেকে মার্চ মাসে হয়। শীতকালে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত ? সর্বাধিকভাবে, এই সময়ে তাপমাত্রা সাধারণভাবে ৮-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে, যা ঠান্ডা গড় হিসেবে মন্তব্য করা হয়। তাপমাত্রা আকারের পরিবর্তনের জন্য বৃহত্তর অঞ্চলে বেশ কিছু ঠান্ডা এলাকা থাকতে পারে, যেগুলি শীতকালে সবচেয়ে ঠান্ডা হতে পারে।

সাধারণভাবে, ধাপে ধাপে বৃষ্টির প্রস্তুতির সাথে তাপমাত্রা কমে যায় এবং ঠান্ডা আবহাওয়া বৃষ্টির সাথে জড়িত থাকতে পারে। কোনও হিমপাতের সম্ভাবনা অধিক হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা আরও কমে যায় এবং অধিক ঠান্ডা অবস্থা উৎপন্ন হতে পারে।

তবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ভিন্নভাবে পরিবর্তন হতে পারে, এবং উচ্চতম ও ন্যূনতম তাপমাত্রা প্রভাবিত হতে পারে অঞ্চলের ভিন্নভাবে।

শীতকালে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত, biborun.com,

আরো পড়ুন:- নিজেকে সুস্থ রাখতে শীতে যখাবেন ।  শীতের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় । শীতে ক্লান্তি কাটাতে কী খাবেন ।  শীতকালে যেসকল খাবার এড়িয়ে চলবেন

ঢাকা: সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে। এদিন হিমালয়ের কোলঘেঁষা জেলার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলমান তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আজ আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। নীলফামারীর সৈয়দপুরেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

এই জেলার মানুষ শেষবার ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা দেখেছিল ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি।

১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের শীতলতম স্থান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি ছিল এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। আর ঢাকায় ১৯৫৩ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪.৫ ডিগ্রিতে।

 

সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৯

গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় সব জায়গায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি কমে যাওয়ার রেকর্ড পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ শ্রীমঙ্গল ও সীতাকুণ্ড অঞ্চল এবং রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ আবহাওয়া আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

উত্তর ও দক্ষিণের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকায় গত কয়েক বছর ধরে শীতের দেখা নেই। গত বছরের রেকর্ডে পৌষ ও মাঘ মাস ছিল সবচেয়ে উষ্ণ। কাঁপানো বাঘ দূরে থাক, ক্ষীণ উত্তরের বাতাসে গাছের পাতাও কাঁপেনি। গত কয়েক বছর ধরে শীতের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকেই। বলা হতো, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে প্রকৃতি থেকে শীত হারিয়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদরা তীব্র শীতের জন্য উত্তর দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসকে দায়ী করছেন। আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের ‘জেড ফ্লো’ শীতের কারণ হিসেবে শক্তিশালী হয়েছে। এই সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের কাছাকাছি থাকে। তাই অস্ট্রেলিয়ায় প্রচণ্ড গরম। সেখানকার বাতাস হালকা হয়ে উঠেছে এবং স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। শূন্যস্থান পূরণের জন্য উত্তর দিক থেকে ইউরোপীয় মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর দিয়ে দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে প্রবাহিত হয়। একে ‘জেড প্রবাহ’ বলে।

উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য যত বেশি হবে, জেড প্রবাহ তত শক্তিশালী হবে। উত্তর কানাডায় এখন তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় তাপমাত্রা প্রায় 50 ডিগ্রি। দুই অঞ্চলের মধ্যে চরম পার্থক্যের কারণে উত্তর দিক থেকে বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। শামীম হাসান বলেন, একই কারণে ২০১৩ সালেও প্রচণ্ড শীত পড়েছিল।

আরো পড়ুন:- নিজেকে সুস্থ রাখতে শীতে যখাবেন ।  শীতের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় । শীতে ক্লান্তি কাটাতে কী খাবেন ।  শীতকালে যেসকল খাবার এড়িয়ে চলবেন

tag:- শীতকালে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top