ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা – Vitamin E

অন্যান্য ভিটামিনের মতো ভিটামিন ইও শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি আমাদের শরীর থেকে যেকোনো রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আজকের নিম্ন লিখিত আর্টিকেল মনোযোগ সহ পড়লে আপনারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা  এবং কোন কোন খাবারে ভিটামিন ই রয়েছে এই বিষয়ে  বিস্তারিত জানতে পারবেন। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন  শুরু করি:-

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা, ভিটামিন ই এর অসুবিধা, যে সকল খাবারের ভিটামিন ই পাওয়া যায়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটি ভালো?, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি আপনাকে মোটা করে?, biborun.com,

আরো পড়ুন:- ভিটামিন ই কত দিন খেতে হয় । পটাশিয়াম কমানোর উপায় । ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট এর কাজ কি । ভিটামিন ডি এর অভাবে বড়দের কি কি রোগ হয়কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি পুনর্নির্মাণশীল এবং সর্বজনীন ভিটামিন হিসেবে পরিচিত আছে। এটি মূলত তিনটি প্রধান উৎস টোকোফেরোলস যেমন আলফা-টোকোফেরোল, বেটা-টোকোফেরোল এবং গামা-টোকোফেরোল থাকে। এটি একটি মহত্ত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত এবং প্রচুর সার্বিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন উপকারিতা থাকতে পারে এই ভিটামিন ক্যাপসুলে।

 

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি: ভিটামিন ই হলো একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মুক্ত রেডিক্যালস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই মুক্ত রেডিক্যালস হলো অস্থির অণুগুলি যা স্বাস্থ্যকর সেলগুলি নষ্ট করতে পারে।

হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য: ভিটামিন ই হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং কোলেস্টেরল ও ট্রিগ্লিসেরাইডের স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।

স্কিন স্বাস্থ্যের উন্নতকরণ: ভিটামিন ই ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতকরণে সহায়ক হতে পারে এবং ত্বকের যৌবন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

ইমিউন সিস্টেমের সুরক্ষা: ভিটামিন ই ইমিউন সিস্টেমকে বৃদ্ধি দেওয়ায় সাহায্য করতে পারে, যা শরীরকে রোগ এবং অন্যান্য সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান করতে সাহায্য করে।

প্রজনন স্বাস্থ্য: কিছু গবেষণা প্রদান করে যে, ভিটামিন ই পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

একটি সুস্থ ও বিশেষজ্ঞ এবং কোনও ধরণের অসুস্থতা বা ঔষধের ব্যবহারের আগে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল অধিক পরামর্শ করা হোলে ভালো হয়।

আরো পড়ুন:- ভিটামিন ই কত দিন খেতে হয় । পটাশিয়াম কমানোর উপায় । ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট এর কাজ কি । ভিটামিন ডি এর অভাবে বড়দের কি কি রোগ হয়কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা,
ভিটামিন ই এর অসুবিধা,
যে সকল খাবারের ভিটামিন ই পাওয়া যায়,
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটি ভালো?,
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি আপনাকে মোটা করে?,
biborun.com,

 

ভিটামিন এর অপকারিতা :

যদিও ভিটামিন ই এর পরিমাণ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে অবদান রাখে। কিন্তু অত্যধিক ভিটামিন ই আমাদের শরীরের ক্ষতিকর হয়ে উঠে। এটি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে তা শরীরে জমতে শুরু করে। কারণ এটি চর্বি দ্রবণীয়, এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অপসারণ করা যায় না। তাই এই ভিটামিন খাওয়ার সময় মাত্র অতিরিক্ত যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এটি ধীরে ধীরে প্রচুর পরিমাণে শরীরে জমা হয় এবং এই ভিটামিন সাধারণত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। এমনকি এই ভিটামিনের অত্যধিক ব্যবহার আমাশয় সহ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

 

যে সকল খাবারের ভিটামিন পাওয়া যায়

সকল মানুষের শরীরকে সুস্থ ও বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে আমরা অনেক খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই পেতে পারি। ভিটামিন ই অনেক খাবারে পাওয়া যায়। এই ভিটামিনটি প্রাচীন খাদ্যপদার্থ, তেল, বীজ, ডাল, গাছ-ফল, মাছ, ডিয়ারি পণ্য ইত্যাদির মধ্যে বিভিন্ন খাদ্য উৎসগুলিতে পাওয়া যায়।একটি সাধারিত খাদ্য প্রণালীর মাধ্যমে ভিটামিন ই প্রাপ্ত করার জন্য কিছু খাদ্য উৎসের মধ্যে রয়েছে:-

ভেজিটেবল ফলমূল: সবচেয়ে উচ্চ ভিটামিন ই এর উৎস হতে পারে পালং, স্পিনাচ, কেলেলা, ব্রোকোলি, প্যাপায়া, ম্যাঙ্গো, কিউয়া, এবং ব্লুবেরি।

খাবার তেল: তেলের ভিটামিন ই হতে পারে সোয়াবিন অথবা টোকোফেরোল, যা খাদ্য তেলে রয়েছে। সোয়াবিন মূলত সোয়া তেল, সাফলা তেল, অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার তেল, এবং কর্ন তেলে পাওয়া যায়।

গাছফলের তেল: কিছু গাছ-ফলের তেলেও ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যেমন হয় আলমন্ড তেল, হেজেলনাট তেল, এবং মেডোহানি তেল।

বীজ এবং ডাল: বীজ এবং ডালেও ভিটামিন ই রয়েছে, যেমন হয় সূরজমুখী বীজ, কিসমিস, পুস্তক বীজ, সোয়াবিন, এবং ডালের মধ্যে মুং ডাল, ছোলা, ও মসুর ডাল।

মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার: কিছু মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারেও ভিটামিন ই থাকে, এমনকি অলি তেল, সার্ডাইন, হিলসা, ম্যাকারেল, ও সূজি মাছ এবং সামুদ্রিক শ্রীম্প।

ভিটামিন ই একটি পৌষ্টিক এবং  উপকারী গুণ সমৃদ্ধ ভিটামিন, এই ভিটামিন আমরা বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে চাহিদা মেটাতে পারি।

আরো পড়ুন:- ভিটামিন ই কত দিন খেতে হয় । পটাশিয়াম কমানোর উপায় । ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট এর কাজ কি । ভিটামিন ডি এর অভাবে বড়দের কি কি রোগ হয়কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

FAQ:-

  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল কি আপনাকে মোটা করে?
  • না, ভিটামিন ই ক্যাপসুল আপনাকে মোটা করে না। তবে নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন ই প্রয়োজন এবং শরীর সুস্থ থাকে। এটি শরীরকে একটু মোটা করে তুলতে পারে।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটি ভালো?
  • ভিটামিন-ই ক্যাপসুল সবই ভালো। কিন্তু বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-ক্যাপসুল হল ই-ক্যাপ 400, ই-ভিট, ই-জেল ইত্যাদি।

 tag:- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা, যে সকল খাবারের ভিটামিন ই পাওয়া যায়,

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top