কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে

হাত পা জ্বালা পোড়া করে এটি খুবই অস্বস্তিকর অনুভূতি। হাত পায়ে জ্বালাপোড়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর প্রধান কারণ স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা। চিকিৎসার ভাষায় একে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলা হয়। প্রধানত কোনো কারণে হাত ও পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে হাত ও পায়ে জ্বালাপোড়া হতে পারে। হাত-পা জ্বালাপোড়া বা কাঁপুনি একটি পরিচিত সমস্যা। তবে এটি কোনো রোগ নয়, বরং কোনো রোগের লক্ষণ।

কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে

ভিটামিন B12 এর অভাবে পা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এই ভিটামিনটি একটি সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য, তাই এই ভিটামিনের অভাব স্নায়ু ব্যথা এবং পা জ্বলতে পারে। ভিটামিন বি সম্পূরক গ্রহণ করা শুরু করুন এবং বি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান।

হাত পা জ্বালা পোড়া করার লক্ষণ :

হাত এবং পা জ্বালা এবং পোড়ার কারণ হতে পারে বিভিন্ন এবং এগুলির লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে। তবে, কিছু সাধারিত লক্ষণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

পেরিফেরাল স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে সাধারণত সংবেদনশীল সমস্যা দেখা দেয়। রোগের শুরুতে পায়ে খিঁচুনি বা জ্বালাপোড়া হলেও ধীরে ধীরে অনুভূতি কমে যায়। কেউ কেউ বলে যে এটি একটি বৈদ্যুতিক শক বা পিন প্রিক বা পিঁপড়ার হাঁটার মতো অনুভূত হয়। কখনও কখনও সামান্য স্পর্শ একটি ভিন্ন এবং অস্বাভাবিক অনুভূতি দেয়। যখন পেরিফেরাল স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা মস্তিষ্কে বারবার ব্যথা সংবেদন পাঠায়। এ কারণে ক্ষত না থাকলেও জ্বালা বা ব্যথা অনুভূত হয়। কেউ কেউ পায়ে কাপড়ও রাখতে পারেন না। রাতে ঘুমানোর সময় পা জেগে রাখতে হবে। কেউ কেউ স্বস্তির আশায় খালি পায়ে মেঝেতে হাঁটছেন।

জ্বালা: হাত এবং পা জ্বালা অবস্থায় আপনি একটি গরম অনুভূতি অনুভব করতে পারেন। এটি একটি মাঝারি থেকে উচ্চ তাপমাত্রায় প্রদান করতে পারে।

পোড়া: হাত এবং পায়ে পোড়া হতে পারে, যা সাধারিতভাবে স্রুতিমুক্ত এবং ভাস্কর হয়ে যেতে পারে।

চার্মিং এবং শোনা: জ্বালা এবং পোড়া হওয়ার সাথে সাথে এই অঞ্চলের চার্মিং এবং শোনা পোড়া বা লাল হতে পারে।

কাঁচি অবস্থা: আপনি হাত এবং পা জ্বালা এবং পোড়া অবস্থায় কাঁচি অভুভূতি অনুভব করতে পারেন, যা একটি বিশেষ ধরণের ব্যথা হতে পারে।

আরো পড়ুন:- ভিটামিন ই কত দিন খেতে হয় । পটাশিয়াম কমানোর উপায় । ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট এর কাজ কি ।ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা। ভিটামিন ডি এর অভাবে বড়দের কি কি রোগ হয় । কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়

হাত-পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায় :

হাত-পা জ্বালাপোড়া বা হাত-পা জ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু উপায় আছে, তবে এই উপায়গুলি সাধারিত প্রস্তুতি এবং আপনার সমস্যার কারণে নির্ভর করতে পারে। একটি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সমস্যার মূল কারণ জানা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করা হতে পারে। (শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির ঔষধ)

শুষ্কতা বজায় রাখুন: শুষ্কতা একটি জ্বালা এবং পোড়ার সাম্যে সাহায্য করতে পারে। হাত এবং পা জ্বালা বা পোড়া থাকলে, তাদের শুকিয়ে নেওয়া এবং তাদেরকে তাজা এবং শুষ্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

শীতকালে ঠান্ডা পানি: জ্বালা বা পোড়া বা অন্য কোনও শারীরিক অবস্থার জন্য ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা কোমর প্রয়োজন হতে পারে।

মেডিকেশন: ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে কোনও ঔষধ বা ক্রিম ব্যবহার করা হতে পারে যা জ্বালা এবং পোড়ার মুক্তির জন্য সাহায্য করতে পারে।

হাইড্রেটেড থাকুন: প্রতিদিন যত্ন নেওয়া জরুরি, যাতে আপনি সব সময় শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য হাইড্রেটেড থাকেন।

খাবারে সাবজি এবং ফল যোগ করুন: সবজি এবং ফল আপনার শরীরকে ভিটামিন এবং মিনারেল সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে, যা ত্বকের সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। (শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির ঔষধ)

শেষ কথা

তবে, হাত এবং পা জ্বালা এবং পোড়ার কারণ বোঝার জন্য এবং সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শারীরিক অবস্থা, খাদ্য প্রণালী, এবং আপনার জীবনযাত্রা উপযুক্ত সমর্থন পেতে ডাক্তারের পরামর্শ অমিলের সাথে সাম্পর্কিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

tag:- কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালাপোড়া করে, হাত-পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির উপায়, biborun.com